উত্তর: মহাবিশ্বের কোনো কেন্দ্র নেই!
বিস্তারিত…
১৩৮০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের জন্ম। বিজ্ঞানীরা এ ঘটনার নাম দিয়েছেন বিগ ব্যাং। অসীম ঘনত্বের বিন্দু থেকে বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের যাত্রা শুরু। তার পর থেকে মহাবিশ্ব বাড়ছেই। মজার বিষয় হলো, এ বিস্ফোরণের কোনো কেন্দ্র নেই। তুমি মহাবিশ্বের যেখানেই যাও না কেন, মহাবিশ্বকে প্রসারিত হতে দেখবে। দেখবে মহাকাশের সবকিছু তোমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে!
মহাবিশ্বকে একটা ফোলানো বেলুন হিসেবে কল্পনা করা যাক। তুমি বা আমি এই বেলুনের ওপর একটি বিন্দু। চারপাশে আছে আরও অনেক গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি। সেগুলোও বিন্দু হিসেবে দাগ দিয়ে রাখি। এখন বেলুনকে আরও যত ফোলানো হবে, বিন্দুগুলো ততই একটা থেকে আরেকটা সমান হারে দূরে সরতে থাকবে। যে বিন্দুতেই থাকো না কেন, তোমার কাছে মনে হবে, মহাবিশ্ব এখান থেকেই প্রসারিত হচ্ছে। এভাবে মহাবিশ্বের কোনো কেন্দ্র খুঁজে পাওয়া যাবে না।
মহাবিশ্ব এত বড় যে পৃথিবীতে বসে এর সবটা দেখা বা বোঝা সম্ভব হয় না। মহাবিশ্বের ছোট্ট অংশ শুধু আমরা দেখতে পাই। বিজ্ঞানীরা একে বলেন অবজারভেবল ইউনিভার্স বা দৃশ্যমান মহাবিশ্ব। এ অঞ্চলটুকুর ব্যাস প্রায় সাড়ে ৪৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। পুরো মহাবিশ্বের তুলনায় খুবই সামান্য। তাই মহাবিশ্বের কেন্দ্র কোথায়, তা জানা সম্ভব না।