সবুজের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল সবুজ। বন্ধু মিন্টুর বলে জোরালো এক ছক্কা হাঁকাল সে। বলটি উড়ে গিয়ে মাঠের পাশের পুরোনো বাড়ির পেছনে পড়ল। সবুজ খুশিতে লাফালেও মিন্টু রেগে বলল, ‘বল নিয়ে আয়! তোকে কতবার বলেছি ওদিকে বল না মারতে। এখন নিজেই গিয়ে আন!’

সবুজ একটু ভয় পেয়ে গেল। বাড়ির পেছনে পুরোনো ঝোপঝাড়। স্থানীয় লোকেরা বলে, সেখানে নাকি সাপের আস্তানা। সে বলল, ‘আমি যাব না! কেউ গিয়ে বলটা নিয়ে এসো।’

কিন্তু বন্ধুরা তাকে জোরাজুরি করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও বল আনতে গেল সবুজ। ঝোপঝাড়ে ঢুকতেই আরও অন্ধকার হয়ে উঠল চারপাশের পরিবেশ। কিছু একটার সঙ্গে হঠাৎ ধাক্কা খেল তার পা। সবুজ নিচে তাকিয়ে দেখল, ধুলোমাখা পুরোনো একটি টর্চ। কৌতূহলবশত সে টর্চটা তুলে বোতাম চাপল।

টর্চ জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের সবকিছু বদলে যেতে লাগল। ঝোপঝাড় গায়েব হয়ে গেল, চারদিকে বড় বড় দালানকোঠা আর গাড়ির শব্দ। মাঠটাও আর নেই। তার বন্ধুরা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। চারপাশে অদ্ভুত এক শহর, যা সে আগে কখনো দেখেনি।

সবুজ হতবাক হয়ে চারদিকে তাকাচ্ছিল। এমন সময় তার কাঁধে কারও হাত পড়ল। ভয়ে সে পেছন ফিরে দেখল, এক অচেনা লোক দাঁড়িয়ে আছে। লোকটি বলল, ‘তুমি এখানে কীভাবে এলে?’

সবুজ কথা বলার আগেই তার পকেটের মোবাইলে রিং বেজে উঠল। সে ফোনটা বের করে রিসিভ করার চেষ্টা করল; কিন্তু কিছুতেই রিসিভ হচ্ছে না। হাত কাঁপতে শুরু করল তার।

হঠাৎ সবুজ চমকে উঠে দেখল, সে তার বিছানায় শুয়ে আছে। ফোনে ভোরের অ্যালার্ম বাজছে।

দ্বাদশ শ্রেণি, নাজিরহাট কলেজ