শাহ আবদুল করিমের মৃত্যু

শাহ আবদুল করিমের গানে বারবার ফিরে এসেছে মানুষের কথা। ছবি: নাসির আলী মামুন/ফটোজিয়াম

বাংলা আর বাউল—দুইয়ের সম্পর্ক বহুদিনের। বাউলগানের জগৎকে সমৃদ্ধ করার পেছনে রয়েছে অনেক জানা-অজানা বাউলের নাম। এমন একজন জনপ্রিয় বাউল শাহ আবদুল করিম। বাউলসম্রাট হিসেবে খ্যাত এই শিল্পী ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে মারা যান।

শাহ আবদুল করিম জন্মগ্রহণ করেছিলেন দিরাই উপজেলার ধল নামের গ্রামে। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা আবদুল করিমের নিত্যসঙ্গী হিসেবে ছিল তাঁর প্রিয় একতারা। ফলে গানের চর্চা করতেন ছোটবেলা থেকেই। তালিম নিয়েছিলেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছে। গ্রামীণ পরিবেশে বাস করতেন। গ্রামে গানের আসরে গান গাইতেন। খুব বেশি মানুষের সামনে আসা হয়নি তাঁর।

প্রথম আলোতে ২০২০ সালে প্রকাশিত এক লেখায় বাউল শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে একটি গল্প বলা হয়েছিল। একবার সিলেটে তাঁর জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে তাঁকে সাড়ে তিন লাখ টাকা অর্থ প্রদান করা হবে বলে তিনি জানতে পারেন। তবে সেটাকে ভুলে তিনি সাড়ে তিন হাজার টাকা শোনেন এবং বলেন, ‘সোয়া তিন হাজার টাকা! এ তো অনেক টাকা! এত টাকা আমি নেব না।’ তারপর যখন তাঁকে বলা হয়, সাড়ে তিন হাজার নয় বরং সাড়ে তিন লাখ, তখন তিনি অবাক হয়ে বলেন, ‘সোয়া তিন লাখ! এত টাকা দিয়ে আমার কী কাজ! মানুষ ভালোবাসে, এটাই বড়। এই টাকা আমার দরকার নাই। এই বাবুল চল, বাড়ি যাই...।’

আরও পড়ুন

ম্যারাথন দৌড় যেভাবে পেলাম

ধারণা করা হয়, আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল বিশ্বের প্রথম ম্যারাথন। সময়টা ছিল ৪৯০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। চলছিল গ্রিস ও পারস্য বাহিনীর যুদ্ধ। শেষে আক্রমণ চালিয়ে জয় লাভ করে গ্রিস। যুদ্ধের ময়দানে ছিল ম্যারাথন। যেখান থেকে এথেন্সের দূরত্ব ছিল ৪১ কিলোমিটার। মূলত যুদ্ধে জয়ের সংবাদ পৌঁছে দিতে গ্রিকদের সেরা দৌড়বিদ দৌড়ে এথেন্সে যান। সেখান থেকেই এসেছে ম্যারাথন দৌড়।

আরও পড়ুন