অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন চার্লস ডিকেন্স
চার্লস ডিকেন্সের শৈশব খুব দুঃখের। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ডিকেনসিয়ান’। এর চেয়ে ভালো শব্দ খুঁজে পাওয়া যায় না তাঁর ছেলেবেলার দুঃখ বোঝাতে। ঠিক যেন ডিকেন্সের উপন্যাসের দুঃখী এক চরিত্র। ছিলেন মা–বাবার সংসারে আট সন্তানের একজন। পরিবারকে সাহায্য করার জন্য স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে বুটজুতা কালি করার কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা কাজ করতেন। এমনকি ডিকেন্সের দাদি মারা যাওয়ার সময় কিছু টাকা রেখে গিয়েছিলেন। এই টাকা দিয়ে তাঁদের পরিবার চলতে পারত। কিন্তু ডিকেন্সের মা চাননি, তিনি কারখানার কাজ ছেড়ে দিক।
ডিকেন্স তরুণ বয়সে অভিনেতা হবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেবার সর্দির কারণে প্রথম অডিশনে উপস্থিত হতে পারেননি। সুযোগ হারিয়ে লেখালেখিতে মনোযোগ দেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তাঁর উপন্যাস মানুষকে আঠার মতো আটকে রাখে। একসময় ধারাবাহিক উপন্যাস লিখে ডিকেনসিয়ান বালক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাহিত্যিক সেলিব্রিটি হিসেবে পরিচিতি পান।