নিউইয়র্ক টাইমসের আত্মপ্রকাশ

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসছবি: রয়টার্স
জানা অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটা পাতা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো মনে দাগ কাটলেও, কত গল্পই তো আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

১৮৫১ সালের আজকের এই দিনে প্রথম প্রকাশিত হয় দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। প্রথমে এর নাম ছিল নিউইয়র্ক ডেইলি টাইমস। প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশের সময় যুক্তরাষ্ট্রে ছিল উত্তাল সময়। তখনো যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার ১০ বছর বাকি। তবে মানুষের মধ্য দাসব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্টেটে কি দাসব্যবস্থা বজায় থাকবে? আর কিছু অংশে বিলোপ হবে?

তখন স্টেটগুলো দাস প্রশ্নে আর ইউনিয়নে তথা একসঙ্গে থাকবে না বলে জনমনে ধারণা ছিল। ইউনিয়ন প্রায় ভেঙে পড়বে পড়বে করছে। তখন প্রথম প্রকাশিত হলো দ্য টাইমস। দ্য টাইমসের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন হেনরি জার্ভিস রেমন্ড (১৮২০-১৮৬৯)। রেমন্ড বিশ্বাস করতেন, সব নতুন রাজ্যে দাসত্ব নিষিদ্ধ করা হলে ইউনিয়নটি টিকিয়ে রাখা যেতে পারে। তবে যে রাজ্যে দাসব্যবস্থা চালু আছে, সেখানে চালু থাকুক।

আরও পড়ুন

তবে রেমন্ড ১৮৫০ সালের ‘ফিউজিটিভ স্লেভ অ্যাক্টে’র সঙ্গে নিজেকে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেননি। এই আইনের ফলে স্থানীয় মার্শাল (আইন প্রয়োগকারী) বাধ্য হয়েছিলেন পালিয়ে আসা দাসদের বন্দী করতে। দাসমুক্ত ঘোষিত এলাকা থেকে যে দাসেরা পালিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের বন্দী ও প্রত্যাবর্তনে মালিকদের সহায়তা করতেন মার্শাল। এই আইন এমন নাগরিকদের শাস্তি দিয়েছে, যাঁরা দাস-আটকে বাঁধা দিয়েছেন বা দাস শরণার্থীদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘ক্রিস্টিয়ানা দাঙ্গা’। দ্য টাইমস প্রথম প্রেসে যাওয়ার কয়েক দিন আগে এটি ঘটেছিল। এই দাঙ্গায় মেরিল্যান্ডের এক দাসমালিক পেনসিলভানিয়ায় পালিয়ে যাওয়া দাসদের তাড়া করেছিলেন। তিনি ক্রিস্টিয়ানা শহরের কাছে জনগণের আক্রমণে নিহত হন।

এ ঘটনা নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম সংখ্যায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ল্যানচেস্টারে পলাতক দাসদের দাঙ্গা নিয়ে প্রকাশিত খবরের কাগজটি এখনো দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সদর দপ্তরে প্রদর্শিত হয়।

আরও পড়ুন