আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল আজ

উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থানে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের পর মুক্ত বঙ্গবন্ধু, ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ছবি: সংগৃহীত
জানা অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটা পাতা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো মনে দাগ কাটলেও, কত গল্পই তো আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ১৯ জুন, ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাঙালির মুক্তির ইতিহাসের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। সেই বছরের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা শহরে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আসামীরা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ থাকায় একে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বলা হয়। এছাড়া এটি ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ নামেও পরিচিত। এই মামলায় আরও বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে মিলে আসামীরা পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছিলেন।

মামলা দায়েরের পর একে একে আসামিদের আটক করা হয় এবং ১৯৬৮ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১২১-ক ধারা এবং ১৩১ ধারায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের শুনানি শুরু হয়। শুনানির পর এই মামলাকে ঘিরে দেশজুড়ে বেশ উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা সেনানিবাসে মামলার ১৭নং আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। পরে পরিস্থিতি বেগতিক হলে গণ আন্দোলনের মুখে পড়ে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় এবং আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হয়।

আরও পড়ুন