১ অক্টোবর কিশোর আলোর জন্মদিন। ২০১৩ সালে কিআর আত্মপ্রকাশ। এবার কিআর বয়স হলো ১১। পত্রিকাটির দ্বাদশ বর্ষের প্রথম সংখ্যা এটি।
১১ সংখ্যাটি বেশ মজার। প্রাইম নম্বর বা মৌলিক সংখ্যা। ফুটবল, হকি বা ক্রিকেট খেলায় একটা দলে থাকে ১১ জন। এই জন্য আমরা বলি, অমুক একাদশ বনাম তমুক একাদশের খেলা হচ্ছে। আমাদের সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘ওরা এগারো জন’ বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
এগারোর একটা বৈশিষ্ট্য আছে। সাধারণত ১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা ক্লাস ফাইভে পড়ে, ১১ বছর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যায় উচ্চবিদ্যালয়ে। আর ক্লাস টেন পর্যন্ত, আমাদের দেশে বলা হয়, স্কুলে পড়ে, আর ইলেভেন ক্লাসে উঠলেই বলে কলেজে পড়ে। তাহলে কিআ এবার প্রাইমারি থেকে গেল সেকেন্ডারিতে, আর স্কুল থেকে গেল কলেজে।
কোনো সংখ্যার কোনো আলাদা মাহাত্ম্য আছে বলে আমরা মনে করি না।
কিশোর আলো কেন আমরা বের করতে শুরু করি? আমাদের শিশু–কিশোরদের শৈশবকে আনন্দময় আর রঙিন করে তুলতে সাহায্য করতে। তাদের কল্পনা আর স্বপ্নকে বড় করে তুলতে চেয়েছিলাম আমরা। তারা যেন ভালো মানুষ হয়, আলোকিত মানুষ হয়, মানবিক একটা পৃথিবী গড়ে তোলার উপযুক্ত হয়ে ওঠে। শুধু জিপিএ ফাইভ পাওয়া যেন তাদের জীবনের উদ্দেশ্য না হয়। তাই আমরা বলি, আমাদের পৃথিবী অনেক বড়। বলি, ‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে’।
আমরা চাই, আমাদের কিশোরেরা এমনভাবে নিজেদের গড়ে তুলুক, তারা যখন বড় হবে, যেন সুন্দর মানুষ হয়। হিংসা-বিদ্বেষহীন, যুদ্ধহীন পৃথিবী গড়ে তুলবে সেই সুন্দর মানুষেরা।
কিশোর আলোর একাদশতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।
কিআর সম্পাদকীয়তে সব সময় চেষ্টা করি একটা গল্প কিংবা কৌতুক বলতে। ১১ নিয়ে কখনো কৌতুক খুঁজে পেলাম না। তবে ইলেভেন নিয়ে পেয়েছি। টেন প্লাস টেন আর ইলেভেন প্লাস ইলেভেন সমান হয় কীভাবে? টেন প্লাস টেন টোয়েন্টি। আর ইলেভেন প্লাস ইলেভেন? টোয়েন্টি টু।