গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে তোমার মস্তিষ্কের অনেকগুলো অংশ কাজ করে। যেমন পাটিগণিত করার সময় যে অংশ কাজ করে, জ্যামিতির সময় সে অংশ কাজ করে না। তখন হয়তো মস্তিষ্কের ভিন্ন একটি অঞ্চল কাজ করে। সবাই কিন্তু একই সঙ্গে পাটিগণিত ও জ্যামিতিতে ভালো হয় না। যে পাটিগণিত ভালো পারে, সে হয়তো জ্যামিতিতে দুর্বল। আবার উল্টোটাও হয়। তবে তুমি যদি মাঝেমধ্যে গাণিতিক দক্ষতা সমাধান করো, তাহলে একই সঙ্গে অনেক বিষয়ে ভালো করতে পারবে। কারণ, গাণিতিক সমস্যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়।
প্রায় ১০ ভাগ মানুষ সংখ্যাকে রঙিন মনে করে। কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তুমি একটা খেলা খেলতে পারো। ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা খাতায় লিখবে। প্রতিটি অঙ্ক লেখার সময় বিভিন্ন রং কল্পনা করবে। যেমন শূন্য লেখার সময় লাল, ১ লেখার সময় সাদা…এভাবে। এবার তোমার বন্ধুকেও এভাবে লিখতে বলো। তারপর মিলিয়ে দেখো, তোমার বন্ধুর সঙ্গে তোমার কয়টি রং মিলেছে।
তুমি কীভাবে গণনা করো?
গণনা করার সময় তুমি কি সংখ্যাগুলোর শব্দ শুনতে পাও? না, মজা করছি না। অনেকে সংখ্যার শব্দ শুনতে পায় বা সংখ্যাগুলো দেখতে কেমন, তা কল্পনা করতে পারে। চেষ্টা করে দেখো তো, গণনা করার সময় তোমার এ রকম কোনো অনুভূতি হয় কি না।
চিন্তাভাবনা করার চারটি ধরন আছে। অঙ্ক করার সময় তুমি এর যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারো। সেগুলো হলো শব্দগুলো দেখা, ছবি আকারে চিন্তা করা, সংখ্যাগুলোর শব্দ শোনা ও হাতে-কলমে কাজ করা।
ধাপ ১
হইচই আছে এমন একটি জায়গায় গিয়ে ১০০ থেকে পেছনের দিকে ৩ সেকেন্ড গোনার চেষ্টা করো। প্রথমে চোখ বন্ধ করে দেখো, সংখ্যাগুলোকে শুনতে পাও কি না। এবার ওগুলো কল্পনা করো।
ধাপ ২
এরপর টিভি দেখার সময় টিভির শব্দ মিউট করে ওপরের দুটি পদ্ধতিই আবার চেষ্টা করো। চারটি ধরনের মধ্যে তোমার কাছে কোনটি সহজ লাগছে?