জানা-অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের মনে থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। নতুন বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!
‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ, সাচ আ ডিজাস্টার আই ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড’—একাত্তরের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে এমন কথাগুলো গানের সুরে সবাইকে গেয়ে শুনিয়েছিলেন এক গায়ক। উদ্দেশ্য, হাজার হাজার মাইল দূরের ছোট্ট এক দেশকে স্বাধীন করার জন্য যাঁরা লড়াই করে যাচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। বলছি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের কথা।
১৯৪৩ সালের আজকের এই দিনে যুক্তরাজ্যের লিভারপুলের খুব সাধারণ এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই শিল্পী। প্রাথমিক পেরিয়ে মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় শুরু হয় গিটারের সঙ্গে তাঁর পথচলা। আর তখন থেকেই দেখিয়ে আসছেন প্রতিভার ঝলক। লেনন, পল, হ্যারিসন এবং রিঙ্গো—এই চারজন মিলে ষাটের দশকে তৈরি করলেন ব্যান্ড ‘দ্য বিটলস’। নিজের অসাধারণ প্রতিভার কারণেই হ্যারিসন জায়গা করে নেন বিটলসের লিড গিটারিস্ট হিসেবে। এর পাশাপাশি লিখতে থাকেন গান। তাঁর অসাধারণ সব সৃষ্টির অনন্য উদাহরণ ‘বাংলাদেশ’ গানটি।
একাত্তরে বাঙালির আর্তনাদ পৌঁছে গিয়েছিল জর্জ হ্যারিসনের কানে। মুক্তিকামী মানুষের কষ্ট নাড়া দেয় তাঁকে। কয়েকজন বন্ধু-সহকর্মীকে নিয়ে আয়োজন করেন ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। দুই দিন ধরে চলে সেই কনসার্ট। বাংলাদেশের মানুষের জন্য তোলা হয় অর্থ। সব মিলিয়ে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য জোগাড় করেন হ্যারিসন। ইউনিসেফের সহায়তায় পুরোটাই পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য। বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম বন্ধুর আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন, জর্জ হ্যারিসন!