কল্পনিক প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক উত্তরের বই 'এমন যদি হতো'
বই: এমন যদি হতো | লেখক: আব্দুল্লাহ আল মাকসুদ | দাম: ৪০০টাকা | প্রকাশক: জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
মহাবিশ্বের সবকিছু চলছে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। প্রতিদিন প্রায় ২৪ ঘণ্টায় একবার পৃথিবী ঘুরছে নিজ অক্ষে। আকাশজুড়ে রাতের বেলা দেখা যায় একটাই চাঁদ। সেই চাঁদের আকর্ষণে দিনে দুবার করে হচ্ছে জোয়ার-ভাটা।
এগুলোর কোনো ব্যতিক্রম নেই। কিন্তু এমনটা না হলে কেমন হতো? কেমন হতো যদি আকাশে থাকত একাধিক চাঁদ? কিংবা সূর্যটা যদি হতো ভিন্ন ধরনের কোনো নক্ষত্র? আবার আমরা যে অক্সিজেন সম্বল করে বাঁচি, সে অক্সিজেন যদি না ৫ সেকেন্ডের জন্য উবে যেত পৃথিবী থেকে? কী হতো তখন? এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খায় বিজ্ঞানপ্রিয় কল্পনাপ্রবণ মানুষের মনে।
সত্যি বলতে, এসব প্রশ্ন ঘোরে বিজ্ঞানীদের মাথাতেও। এই বইয়ে জানা যাবে, পৃথিবী আলোর গতিতে ঘুরলে কী হতো? সূর্যে নিউক্লিয়ার বোমা ফেললে কী হবে? পৃথিবীর সমস্ত সাপ মারা গেলে কী হতো? মানুষের ঘাম না হলে কী হতো? এমনকি সৌরজগতে আরেকটা নক্ষত্র ঢুকে পড়লেই বা কী হতো, তাও জানা যাবে এই বই থেকে।
এমনই আপাত অলীক সব ভাবনার সূত্র ধরে আবিষ্কৃত হয়েছে বহু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। সে কারণেই বিজ্ঞান সব সময় কল্পনা করতে উৎসাহ দেয়। এটা মানুষের এক অনন্য ক্ষমতা। কল্পনা থেকে জন্ম নেয় জটিল ও কল্পনাতীত সব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব।
সে জন্য অবশ্য শুধু কল্পনা করলেই হয় না। কিংবা বলা যায়, শুধু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে থেমে যাওয়া যাবে না। চাই যৌক্তিক উত্তরও। সে জন্য অবান্তর বা আপাত দৃষ্টিতে কাল্পনিক অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা, খাঁটি বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও কার্যকারণে ভর করে। এতে বিজ্ঞান নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ যেমন বাড়ে, জাগে কৌতূহল, তেমনি বোঝা যায় মহাবিশ্বের কর্মপদ্ধতি। পাশাপাশি তৃষ্ণা মেটে জ্ঞানের তৃষ্ণা। এমন যদি হতো বইয়ে সেরকম কিছু প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনের বিভিন্ন বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বেশ কিছু বইপত্র ও ম্যাগাজিন ঘেঁটে লেখাগুলো দাঁড় করিয়েছেন লেখক।