আহসান মঞ্জিল জাদুঘর উদ্বোধন

আহসান মঞ্জিল, সদরঘাট
জানা অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটা পাতা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো মনে দাগ কাটলেও, কত গল্পই তো আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে অন্যতম আহসান মঞ্জিল। ছোট ছোট অলিগলি আর পুরোনো দালানকোঠায় ঘেরা পুরান ঢাকায় এর অবস্থান। শহরের শেষ প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল একসময় ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। এখান থেকেই বাংলার শাসনকার্য চলেছিল বহু বছর। এই প্রাসাদকে ১৯৯২ সালের আজকের দিনে জাদুঘর হিসেবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীনতালাভের পর নবাব পরিবারের উল্লেখযোগ্য উত্তরসূরিরা বিদেশে পাড়ি জমাতে শুরু করেন। ফলে আহসান মঞ্জিল রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বেশ ঘাটতি দেখা দেয়। পরে ১৯৭৪ সালে প্রাসাদকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে তাঁরা এটিকে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেন এবং সংস্কারের মাধ্যমে আহসান মঞ্জিলকে জাদুঘর ও পর্যটনকেন্দ্র রূপান্তরের নির্দেশ দেন। সংস্কারের প্রকল্প শুরু হয় ১৯৮৬ সালে। পরে ১৯৯২ সালে সংস্কার কাজ শেষ হয়।

নবাবদের নিয়ে যখন কথা বলছি, তখন ইতিহাসের আরেকটু পেছনে যাওয়া যাক। ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ নবাব সিরাজদ্দৌলার সঙ্গে পলাশীর যুদ্ধের পর শাসনভার চলে যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে। এর এক শ বছর পর সিপাহিরা আবার আন্দোলন শুরু করে এবং সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়। সেই বিদ্রোহ ছড়িয়ে যায় পুরো ভারতের বিভিন্ন অংশে। এমনকি দিল্লিতেও। এর জের ধরে ১৮৫৭ সালের এই দিনে দিল্লি পুনর্দখল করার চেষ্টা করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এতে তারা সফলও হয়।

আরও পড়ুন