কিশোর আলোর ১০ বছর
কিশোর আলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে, জানালেন মারিয়া–সানজিদা
কিশোর আলোর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২২ অক্টোবর রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ‘নগদ কিআ কার্নিভ্যাল ২০২৩’। জনপ্রিয় মডেল, অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের পাশাপাশি ছিলেন ক্রিকেট ও ফুটবলের তারকারা। তাঁদের পদচারণে আয়োজিত হয়েছে জমজমাট এক কার্নিভ্যাল। মঞ্চে এসে কিশোর আলোর পাঠকদেরকে বলেছেন অনুপ্রেরণামূলক কথা। কী বলেছিলেন তাঁরা?
স্বপ্ন দেখতে পিছপা হবে না, বললেন হাবিবুল বাশার
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘পড়তে হবে সব সময়, চিন্তাভাবনাতেও বড় হতে হবে। অভিভাবকদের বলব, এখনকার বাচ্চারা অনেক স্মার্ট, অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তাই কিশোরেরা ভিন্ন কিছু করতে চাইলে তাদের করতে দিন। আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আগে আমাদের ভিনদেশে যে পরিচয় ছিল, তা কিন্তু আর নেই। এখন বাংলাদেশ বললে এক নামেই সবাই আমাদের চেনে। সেটা আমাদের কিশোরদের জন্যই। আমরা সব সময় নেগেটিভ জিনিসে ফোকাস করি। পজিটিভ জিনিসকে তেমন প্রাধান্য দিই না। যে কারণে অনেক ভালো জিনিসও আড়ালে পড়ে যায়।
এ সময়টা প্রতিটি কিশোর-কিশোরীর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টা স্বপ্ন দেখার সময়। স্বপ্ন দেখতে তাই পিছপা হবে না। গত এক-দেড় মাসে এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে এসে আমার ভালো লাগছে, কোনো চাপ অনুভব করছি না। যেখানেই যাই, সাকিব-তামিম নিয়ে প্রশ্ন; ভবিষ্যৎ অধিনায়ক নিয়ে প্রশ্ন। এখানে সে প্রশ্ন নেই। যদিও আমাদের বিশ্বকাপ–যাত্রা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। তবে আমাদের আশা আমরা ঘুরে দাঁড়াব। তাই ফলাফল যা–ই হোক না কেন, মাঠের ভেতরে ও বাইরে সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।’
কিশোর আলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে
কিআ কার্নিভ্যালে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাফজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়ক সানজিদা আক্তার ও মারিয়া মান্দা। জাতীয় দলে খেলা আর প্রতিদিনের অনুশীলনের রুটিন সবার সঙ্গে শেয়ার করেন তাঁরা। সানজিদা আক্তার বলেন, ‘ভোর ৪টা ৪০–এ ঘুম থেকে উঠে হালকা নাশতা করি। এরপর ৫টা থেকে প্র্যাকটিস, টানা ৮টা পর্যন্ত। এরপর ব্রেকফাস্ট করে জিম, রেস্ট, এরপর ইয়োগা। দুপুরে খাবারের আগে ও পরে পড়াশোনা, এরপর আবার প্র্যাকটিস।’ কিআ কার্নিভ্যালে আসবেন বলে রুটিনে বিন্দুমাত্র ফাঁকি দেননি তাঁরা। বরং সকালের প্র্যাকটিস সেশন সেরে বিশ্রাম নিয়ে যোগ দিয়েছেন অনুষ্ঠানে।
সানজিদা বলেন, ‘সাফল্যের জন্য তিনটি জিনিসের খুব প্রয়োজন। পরিশ্রম করতে হবে, অনুশীলন করতে হবে আর স্যাক্রিফাইস করার মনোভাব থাকতে হবে। আর যত কষ্টই হোক না কেন, হার মানা যাবে না। কিশোর আলো আমাদের সঙ্গে সব সময় ছিল, সব সময় আছে। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে কিশোর আলো আমাদের খোঁজ রাখে। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের সঙ্গে কিশোর আলোর এই সম্পর্ক বজায় থাকবে।’ মারিয়া মান্দা বলেন, ‘খেলা নিয়ে সব সময়ই ব্যস্ত থাকি আমরা। সব সময় সবার অনুরোধ রাখা সম্ভব হয় না, কিন্তু কিশোর আলো ডাকলে না করতে পারি না। কিশোর আলো ডাকলে আমরা সব সময়ই আসার চেষ্টা করি।’
কার্নিভ্যালে লেখক দল : আমাতুননূর বুশরা, মৃণাল সাহা, মোহাম্মাদ উল্লাহ জাফরী, সামিহা হায়দার ও আহমাদ মুদ্দাসসের