কোথায় হারালেন পাইলট অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট

অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট
জানা অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটা পাতা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো মনে দাগ কাটলেও, কত গল্পই তো আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ০২ জুলাই, ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। পুরো নাম অ্যামেলিয়া মেরি ইয়ারহার্ট। ১৮৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের আচিসনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১০ বছর বয়সে ইয়ারহার্ট একবার মেলায় গিয়েছিলেন। সেখানেই প্রথম বিমান দেখেছিলেন। প্রথম দেখায় বিমান জিনিসটা মোটেও পছন্দ হয়নি। কিন্তু বছর দশেক পর সেই বিমানই ইয়ারহার্টের মনে জায়গা করে নেয়। ১৯২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট প্রথম বিমানে ভ্রমণের সুযোগ পান। সেদিনই ঠিক করেন, তিনি নিজেই বিমান চালাবেন। পরের বছর ইয়ারহার্ট বিমান চালানোর প্রথম প্রশিক্ষণ নেন।

কয়েক মাস পর টাকা জমিয়ে নিজেই কিনে ফেলেন দুই আসনের একটি পুরোনো বিমান। হলুদ রঙের সেই বিমানের নাম দেন ‘দ্য ক্যানারি’। সেই বিমান দিয়ে তিনি প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে ১ লাখ ৪০ হাজার ফুট ওপর দিয়ে বিমান চালানোর খ্যাতি অর্জন করেন।

১৯৩৭ সালে লকহিড ইলেকট্রা টেন ই বিমান নিয়ে নাবিক ফ্রেড নুনানের সঙ্গে পৃথিবী ভ্রমণে বের হন মার্কিন নারী বৈমানিক অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট। ৪০ দিনে মোট ২০ জায়গায় যাত্রাবিরতি দিয়ে তাঁরা ২২ হাজার মাইল পাড়ি দেন তাঁরা। এরপর পাপুয়া নিউগিনির পূর্ব উপকূলের লায়ে নামক এক স্থানে এসে পৌঁছান তাঁরা। এরপর ২ জুলাই, অর্থাৎ আজকের এই দিনে তাঁরা লায়ের মূল ভূখণ্ড থেকে ২ হাজার ৫০০ মাইল দূরে মধ্য প্রশান্ত সাগরে ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রবালদ্বীপ হাউল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন।

কয়েক ঘণ্টার যাত্রার পর ইয়ারহার্ট ও নুনান যখন দ্বীপের কাছে যান, তখন তাঁদের সিগন্যাল প্রদানকারী জাহাজ একের পর এক সিগন্যাল পাঠাতে থাকে। কিন্তু এর কোনোটাই আর শেষ পর্যন্ত ইয়ারহার্ট-নুনানের কাছে পৌঁছায়নি। কোথায় হারালেন তাঁরা? আজ পর্যন্ত সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এমনকি দুই সপ্তাহের ব্যাপক অনুসন্ধানের পরও সেই বিমানের কোনো অংশ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি অনুসন্ধানকারী দল।

এ ছাড়া আজকের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা।

আরও পড়ুন