আমরা যখন ছোট ছিলাম, গরমের ছুটি ছিল দারুণ মজার একটা ব্যাপার। অনেকে বলতেন আম-কাঁঠালের ছুটি। এই সময় নানা রকম ফলে ভরে উঠত গাছপালা। লম্বা ছুটি পেয়ে মামার বাড়িতে বেড়াতে যেত অনেকেই। তোমরা কি পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ছড়াটা পড়েছিলে? সেখানে সুন্দরভাবে এই সময়টার ছবি আঁকা আছে। কবি লিখেছেন, ‘ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ/ পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ।’ কী দারুণ না? আম, জাম, কাঁঠাল, তরমুজ, লিচুর মতো মজার ফলগুলো খেয়ে আনন্দে কাটত আমাদের গরমের ছুটি। এখন অবশ্য সময় বদলে গেছে। গরম এখন রীতিমতো এক আতঙ্ক। প্রচণ্ড গরমে সারা দেশের মানুষ নাজেহাল। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছ তোমরা। এই গরমে নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে তোমাদের। তাই খুব সতর্ক থাকবে। প্রচুর পানি খাবে। ফল খাবে। বাইরে থেকে এসেই ঠান্ডা পানি খাবে না। এই কাজটা তোমরা অনেকেই করো। কী হয় আমি তোমাদের বলি, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে ঠান্ডা পানি খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। পানির তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বিপদ ঘটতে পারে। তাই সাধারণ তাপমাত্রার পানি খাবে বারবার। তোমাদের সবার সুস্থতা কামনা করছি।