হুমায়ূন আহমেদের বইয়ে কতগুলো কৌতুক পড়েছিলাম।
একজন যাত্রী রিকশাওয়ালাকে বললেন, এই রিকশা, ভাড়া যাবা?
যাব।
ওই যে কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড, ওখানে যাব, কত নিবা?
৫০ টাকা।
কী বলো? ৫০ টাকা! এই তো কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড এখান থেকে দেখা যাচ্ছে?
‘জায়গা দেখা গেলেই কাছে হয় না। আকাশের চান্দও তো দেখা যায়!’ রিকশাওয়ালা জবাব দিলেন।
কথা ঠিক। গন্তব্য দেখা যাচ্ছে, তার মানে এই নয় যে জায়গাটা কাছে।
আমাদের ছোটবেলায় ২৯ রমজানের বিকেলবেলা আমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম, যদি চাঁদ দেখা যায়, এই আশায়। ঈদের চাঁদ দেখা ভীষণ আনন্দের ব্যাপার ছিল। এখন অবশ্য আমরা টেলিভিশন বা অনলাইনে চোখ রাখি, চাঁদ কি দেখা গেল?
ঈদের চাঁদ নিয়ে আমাদের স্কুলের পাঠ্যবইয়ে একটা সুন্দর কবিতা ছিল। কবি ডক্টর হরগোপাল বিশ্বাস।
পশ্চিম দিক পানে—
নির্বাক হয়ে চেয়ে আছে সবে ব্যাকুলতা-ভরা প্রাণে।
ছোট রাঙা মেঘ ভাসে—
তারই এক পাশে রূপালী রেখায় চাঁদের ফালিটি হাসে।
যে আগে দেখিতে পায়—
খুশিভরা মনে পাশের জনেরে বলে, ‘ওই দেখা যায়।’
এবার তোমরা ঈদের ছুটি পাচ্ছ বেশ কিছুদিনের জন্য। তোমাদের সবার ঈদের দিনগুলো সুন্দর হোক।
ঈদ মোবারক।