বইয়ের নাম: তিন-চারে নব্বই | লেখক: মোহাম্মদ কায়েস
রবীন্দ্রনাথের ভোলানাথ কীভাবে ‘তিন-চারে নব্বই’ সেটা না জানা গেলেও মোহাম্মদ কায়েসের লেখা এ বইয়ে জানা যাবে, একিলিস ও কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতায় আসলে কে জিতেছিল? ডিম আগে, নাকি মুরগি আগে? এগুলো তো আছেই। আছে আরও মজার কিছু প্যারাডক্স নিয়ে আলোচনা। গণিতের মারপ্যাঁচে কীভাবে ১=০ বা ১=২ হয়ে যাচ্ছে, দেখে মাথা ঘুরে গেলেও চিন্তার কিছু নেই। মূল ব্যাপারটা সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কখনো আবার স্বপ্নে পাওয়া সেলাই মেশিন আবিষ্কারের গল্প হবে। শুধু তা–ই নয়, রসায়নের বেনজিনের গঠন কিংবা পর্যায় সারণি তৈরির আইডিয়া স্বপ্নে পাওয়া কি না, সেটাও জানা যাবে। স্বপ্নের কথা এলে গণিতবিদ রামানুজনের নামটা চলেই আসবে। কেন? সেটা বরং পাঠকের জন্যই তোলা থাক। সত্য–মিথ্যার ধন্দে মাথা খারাপ হলে ঘুরে আসবে হোটেল ইনফিনিটি থেকে, জায়গার কোনো অভাব নেই সেখানে। কেন? সেটাও আরেক প্যারাডক্স। যারা ম্যাজিক পছন্দ করো, তাদের জন্য বেশ কিছু চমক অপেক্ষা করছে এ বইয়ে। তাসের ম্যাজিককে কীভাবে অন্য একটা ম্যাজিকে রূপান্তর করা যায়, সেটা নিয়ে দারুণ একটা আলোচনা আছে। আর মজার মজার যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের ম্যাজিক হচ্ছে বাড়তি পাওনা। সবশেষে গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্সের ভেলায় ভেসে সময় পরিভ্রমণের গল্পে যে আনন্দটা পাবে, সেটা আসলেই অসীম!