পৃথিবীর সব সংখ্যার মধ্যে গণিতবিদেরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন মৌলিক সংখ্যা। কারণ, মৌলিক সংখ্যার বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মৌলিক সংখ্যাকে শুধু ওই ১ ও ওই সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায়। সুতরাং ৪ মৌলিক সংখ্যা নয়। কারণ, ৪-কে ২ দিয়ে ভাগ করা যায়। কিন্তু ৩ মৌলিক সংখ্যা। কারণ, ৩-কে ১ ও ৩ ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায় না।
নিজে করো
মৌলিক সংখ্যার স্থানান্তর
বড় মৌলিক সংখ্যাগুলো শুধু কম্পিউটার দিয়েই বের করা যায়। তবে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে গ্রিক গণিতবিদ এরাটোস্থেনিস এই ‘ছাঁকনি’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ছোট মৌলিক সংখ্যা আবিষ্কার পদ্ধতি বের করেন। এই ছকের সাহায্যে তুমিও প্রায় ২ হাজার বছর আগের পদ্ধতিটি পরীক্ষা করে দেখতে পারো।
১০ × ১০ বর্গের একটি ছক তৈরি করো। এখানে মোট ১০০টি ঘর আছে। ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো এই ছকে বসাও।
দ্বিতীয় ঘরের সংখ্যাটি ২। ওই সংখ্যা (২) এবং ১ ছাড়া আর কোনো সংখ্যা দিয়ে একে ভাগ করা যায় না। সুতরাং, ২ একটি মৌলিক সংখ্যা। এটাকে বৃত্তে আটকে রাখো।
২ দিয়ে ভাগ করা যায়, এমন কোনো সংখ্যা মৌলিক হতে পারে না। সুতরাং ২ ছাড়া আর যে সংখ্যাগুলো ২ দিয়ে ভাগ করা যায়, সেগুলোকে ক্রস চিহ্ন দিয়ে কেটে দাও। যেকোনো জোড় সংখ্যা ২ দিয়ে বিভাজ্য।
পরের সংখ্যাটি ৩। একেও ওই সংখ্যা ও ১ ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায় না। সুতরাং, ৩ একটি মৌলিক সংখ্যা। এটাকে বৃত্তে আটকাও। এখন ৩ ছাড়া বাকি যেগুলো ৩ দিয়ে ভাগ করা যায় এমন সংখ্যাগুলোকে ক্রস চিহ্ন দাও। কোনো সংখ্যার অঙ্কগুলোর যোগফল ৩ দিয়ে বিভাজ্য হলে, সেই সংখ্যাটিও ৩ দিয়ে বিভাজ্য হয়।
২ দিয়ে ভাগ করা যায় এমন সংখ্যাকে যখন ক্রস দিয়েছ, তখনই ৪ দিয়ে ভাগ করা যায় এমন সংখ্যাগুলোকে ক্রস দেওয়া হয়ে গেছে। এখন ৫ ও ৭ ব্যতীত যে সংখ্যাগুলো ৫ ও ৭ দিয়ে ভাগ করা যায়, সেগুলোতে ক্রস চিহ্ন দাও। শেষে ০ বা ৫ থাকলে ৫ দিয়ে বিভাজ্য হয়।
এখন যে সংখ্যাগুলোতে ক্রস দেওয়া হয়নি, সেগুলো সব মৌলিক সংখ্যা।