১৬৫৫ সালে অসীম সংখ্যা প্রথম প্রতীক (∞) আকারে প্রকাশিত হয়। এই চিহ্নের সাহায্যে এমন কিছু বোঝায়, যার শেষ নেই।
অসীম সংখ্যা শুনলেই অনেকে ভয় পায়। কারণ, তারা অসীম সংখ্যা অনুধাবন করতে পারে না। ইংরেজিতে একে বলে ইনফিনিটি। মানে যে অঙ্ক বা সংখ্যার শেষ নেই। ৭-কে ৩ দিয়ে ভাগ করলে অসীম সংখ্যা পাওয়া যাবে। উত্তর হবে ২.৩৩৩৩৩৩…। তুমি যতবার ভাগ করবে, ততবার দশমিকের পরে ৩ আসবে। এর কোনো শেষ নেই। তাই একে বলে অসীম। গণিতে এটি খুব দরকার। এমন অনেক ধারা বা সিকোয়েন্স আছে, যার কোনো শেষ নেই। যেমন পাইয়ের মানের কোনো শেষ নেই, অসীম।
সময় পেলে সবই সম্ভব
সময়ের অভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি না। আবার অনেকে এই অল্প সময়েই পৃথিবী বদলে দেওয়ার মতো কাজ করেন। পর্যাপ্ত সময় দিলে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। হয়তো ভবিষ্যতে বানর কি–বোর্ডে টাইপ করে শেক্সপিয়ারের উপন্যাস সংরক্ষণ করবে। জানো নিশ্চয়ই, বানর অনেক বুদ্ধিমান!
ইনফিনিটি বলে বাস্তবে কিছু আছে?
অসীম শব্দটা গণিতের জন্য দরকারি হলেও বাস্তবে এর কোনো উদাহরণ চোখের সামনে দেখতে পাবে না। তুমি বলতে পারো, মহাবিশ্ব অসীম এবং সেখানে অসীমসংখ্যক নক্ষত্র আছে। সময়কে অসীম বলা যায়। কারণ, সময় কখনো শেষ হবে না। ভালো বাংলায় বললে বলা যায় ‘অনন্তকাল’।