দুই বন্ধু ঘুরতে ঘুরতে জঙ্গলে গেছে। হঠাৎ তারা একটা ভালুক দেখতে পায়। ভয়ে একজন চট করে গাছে উঠে পড়ে। কিন্তু অন্যজন গাছে উঠতে পারে না। ফলে সে একটা বুদ্ধি বের করে। শুয়ে পড়ে মাটিতে। যেন সে মৃত। বুদ্ধির জোরে বন্ধু সেবার বেঁচে গেল। কারণ, ভালুক মৃত মানুষ খায় না (আসলেও খায় না, এটা শুধু একটা গল্প)। গল্পের সেই চরিত্র যেন হুবহু অনুসরণ করেছে অস্ট্রেলিয়ায় একদল পিঁপড়া। শিকারির হাত থেকে বাঁচতে পিঁপড়াগুলো মৃত্যুর অভিনয় করে। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা পিঁপড়ার এই মৃত্যু মৃত্যু খেলার কৌশল আবিষ্কার করেছেন।
আসলে গবেষকেরা গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙারু দ্বীপে পিগমি পোসাম (ইঁদুরের মতো দেখতে) ও বাদুড়ের বাসা পরীক্ষা করতে। তখন তাঁরা বাসার মধ্যে পিঁপড়ার সম্পূর্ণ একটা উপনিবেশ মৃত অবস্থায় দেখেন। গবেষকদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। পুরো একটা উপনিবেশ কেন এভাবে মারা গেল, সেই রহস্য উদ্ঘাটন করবেন বলে যেই না একটা পিঁপড়া হাতে ধরেছেন, অমনি সব পিঁপড়া দে ছুট। এসব পিঁপড়াকে এর আগে কখনো দেখা যায়নি। হতে পারে ওগুলো কোনো নতুন প্রজাতির পিঁপড়া। ওই গবেষকদের মতে, শিকারির হাত থেকে বাঁচতে পিঁপড়াগুলো এই অভিনয় করে। আবার হতে পারে, এটা পিঁপড়া প্রজাতির একটা খেলা।