২১০০ সালের মধ্যে বিলুপ্ত হবে মেরু ভালুক
ন্যাটজিও কিংবা ডিসকভারি চ্যানেলে চোখ পড়লে দেখা মেলে সাদা লোমে ঢাকা নাদুসনুদুস মেরু ভালুকের। মেরু অঞ্চলের বরফে ছানাদের নিয়ে স্যামন মাছ চিবিয়ে ভালোই দিন কাটাচ্ছিল তারা। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয়ের কবলে নিজেদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে প্রাণীগুলো। মেরু ভালুকের বৈজ্ঞানিক নাম Ursus maritimus। মেরু অঞ্চলের বরফ ঠান্ডা আবহাওয়াতেই বসবাস তাদের। শীত বেশি বাড়লে আশ্রয় নেয় গুহায়। দেহের চর্বিকে কাজে লাগিয়ে সেই কয়েক মাস টিকে থাকে মেরু ভালুক। শীত কমলে আবার শক্ত বরফের চাইয়ে থাবা রেখে গুটি গুটি পায়ে খাবার খুঁজে বেড়ায় ওরা।
কিন্তু জীবনচক্রের এই সাধারণ নিয়মেই বাধা দিচ্ছে বন্ধুর প্রকৃতি। কমে যাচ্ছে সমুদ্রে মাছের পরিমাণ। তাই মেরু ভালুকদের খাবারের সংকট তীব্র হচ্ছে দিন দিন। অনিয়মিত ঠান্ডা আর গরমের কারণে আগের থেকে বেশি সময় না খেয়ে কাটাতে হচ্ছে তাদের। যার ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে সদ্য জন্ম নেওয়া শাবকেরা।
প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে বাড়ছে পরিবেশের তাপমাত্রা। সঙ্গে বেড়ে চলেছে বরফ গলার পরিমাণ। কম ঘনত্বের হালকা বরফের মেরু অঞ্চলে তাই আটকে পড়ছে ভালুকগুলো। তাই তাপমাত্রার থেকে বরফের পরিমাণ কমে আসাটাকেই মেরু ভালুক বিলুপ্তির জন্য বেশি দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, সারা বিশ্বের আর মাত্র ২৫ হাজার মেরু ভালুক বেঁচে আছে। যারা হয়তো এই শতকের পরেই আর পৃথিবীর বুকে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারবে না।
সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট