১৯০০ সালের কথা। ফ্রান্সের স্থানীয় প্রত্নতাত্ত্বিক পল ডু শ্যাটেলিয়ার একটা কবর খুঁড়ছিলেন। খুঁড়তে গিয়ে তাঁর চোখে পড়ে একটা পুরোনো পাথর। প্রত্নতাত্ত্বিকের চোখ কি আর পাথর চিনতে ভুল করে! তুলে নিলেন পাথরখানা। পরীক্ষা করে দেখলেন, সেটা ব্রোঞ্জযুগের পাথর। মানে আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগের কথা। পাথরের গায়ে কিছু আঁকিবুঁকি করা আছে। কিন্তু সেগুলো যে কী, তা তিনি বুঝতে পারেননি। আর বেশি গবেষণার সময়ও পাননি। মৃত্যু হয় পলের। তারপর প্রায় ১০০ বছর আর ওটার কথা কারও মাথায় আসেনি। ২০১৪ সালে পাথরটি আবার বিজ্ঞানীরা খুঁজে পান ফ্রান্সের এক প্রাসাদে। বিজ্ঞানীরা আবার পাথরটি নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ পাথরে ব্রোঞ্জযুগের কোনো রাজপুত্রের কবরের হদিশ দেওয়া আছে। আর প্রাচীনকালের কবর মানেই তো গুপ্তধন থাকার সম্ভাবনা। শুধু গুপ্তধন কেন বলছি! ব্রোঞ্জযুগ সম্পর্কে জানা যাবে অনেক তথ্যও। ইতিমধ্যে পাথরখানাকে ইউরোপের প্রাচীনতম থ্রিডি ম্যাপ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গবেষকদের ধারণা, এই মানচিত্রের অর্থ উদ্ধার করা গেলে গুপ্তধনের পাশাপাশি ফ্রান্সের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে এর সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধার করতে প্রায় ১৫ বছর সময় লাগবে বিজ্ঞানীদের।