বিশ্ব চিঠি দিবস যেভাবে এল

জানা–অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো মনে দাগ কাটলেও, কত গল্পই তো আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

আজ আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস। এখন চিঠির প্রচলন কমে গেলেও আগে এই চিঠি ছিল যোগাযোগের প্রধানতম মাধ্যম। এখন মনে চাইলেই টুক করে একটা মেসেজ পাঠিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আগে কোনো খবর দূরে কাউকে জানানোর জন্য বেশ সময় লাগত। কখনো গুনতে হতো দিন, কখনোবা মাস। তবে যা–ই বলো, চিঠি পাওয়ার মতো আনন্দের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। চিঠি পেলে আমাদের আনন্দের সীমা থাকে না। চিঠিকে বহু সাহিত্যিক তুলনা করেছেন শিল্পের সঙ্গে, অনেক গীতিকার চিঠি নিয়ে লিখেছেন গান। ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’— শুনেছ নিশ্চয়ই। যুদ্ধের ময়দান থেকে শুরু করে বন্ধুত্ব, প্রেম কিংবা দাপ্তরিক কাজ, কোথায় ছিল না চিঠি? তবে আজ যে চিঠি আর সেভাবে নেই, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এই হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে ধরে রাখতে তাই প্রতিবছর ১ সেপ্টেম্বর পালিত হয়ে আসছে ‘আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস’।

২০১৪ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রিচার্ড সিম্পকিনের হাত ধরে এই দিবসের প্রচলন শুরু হয়। নব্বই দশকের শেষের দিকে সিম্পকিন নিজ দেশের বড় ব্যক্তিত্বদের চিঠি পাঠাতেন। অনেক সময় সেই চিঠির উত্তর পেতেন না। তবে যখন পেতেন, তখন তাঁর আনন্দের সীমা থাকত না। এই আনন্দ নাকি তাঁর কাজকর্মে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিত। সেই ভালোবাসা থেকে সিম্পকিন ২০১৪ সালে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি চান চিঠি লেখার চর্চা আবার ফিরে আসুক।

টাইটানিক ডুবে গেল

১৯১২ সালে আজকের এই দিনে আটলান্টিক মহাসাগরে আইসবার্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক জাহাজ। বিশাল এই জাহাজ নিয়ে আজও আলোচনার শেষ নেই। তৈরি হয়েছে অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র ‘টাইটানিক’। ডুবে যাওয়ার প্রায় ৭০ বছর পর ১৯৮৫ সালের এই দিনে আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। এত বছর পর এই ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার ঘটনা অবাক করেছে বিশ্ববাসীকে।

আরও পড়ুন