২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি। বাবার হাত ধরে অজানা ভয়কে সঙ্গে নিয়ে অচেনা এক লাল দালানে প্রবেশ করেছিলাম। সেই থেকে এক নতুন শুরু। মাঝখানে পাঁচটি বছর। স্কুলজীবনের এই পাঁচ বছর কতই–না আবেগের! প্রতি সকাল সাক্ষী, ঘুমচোখে স্কুলে যাওয়া, অ্যাসেম্বলি থেকে পালানো, টিফিন টাইমের জন্য অনন্ত মহাকালের অপেক্ষা, হাজারো ক্রিকেট–ফুটবলের ম্যাচ, শেষ বেঞ্চে খুনসুটি, কতশত হাসি-তামাশার আড্ডা। প্রথম দেয়াল টপকে স্কুলপালানো তো জীবনের অন্যতম মজার ঘটনা। এই স্কুল পালিয়ে যে কত ট্যুর দিয়েছি—সবই স্মৃতি এখন। স্মৃতির জাদুঘর ঘাঁটলে হয়তো উপন্যাসই লেখা সম্ভব। এই প্রতিষ্ঠান আমাকে দিয়েছে কিছু কিংবদন্তি শিক্ষক, যাঁদের প্রতিটি কথা ছিল অনুপ্রেরণার, স্বপ্নময়। এই লাল ব্লকেই কিছু রথী-মহারথীর সঙ্গে সখ্য, যাদের বন্ধু বলে ছোট না করি, ‘ভাইয়ের সমতুল্য তারা’। সবচেয়ে রাগী স্যার–ম্যাডামদের ক্লাসেও দুষ্টুমি-ফাজলামি করা ছিল আরেক দুঃসাহসিক অভিযান। এই অভিযান তো শেষ হওয়ার নয়। জীবনের অভিযান তো দশম শ্রেণির পর থেকেই...এ জন্যই হয়তো লোকে বলে মানুষ বাঁচে মূলত দশম শ্রেণি পর্যন্ত!
অবাক চোখে তাই তাকিয়ে রই, শেষবারের মতো নিজের প্রথম ভালোবাসাকে।
বিদায়বেলায় এসেই হয়তো স্মৃতির মিনারে জ্বলজ্বল করে ওঠে, হৃদয়ের উষ্ণ রক্ত মস্তিষ্কের ক্যানভাসে আগুন ঝরায়, বারবার ফিরে তাকাতে বাধ্য করে। বিদ্যালয়ের প্রতিটি গাঁথুনি মনে রাখুক আমাদের।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম