আজ বিশ্ব সুখ দিবস

ফিনল্যান্ডের মানুষ বিশ্বাস করেন, সুখ অন্যকে দেখানোর বিষয় নয়ছবি: পেক্সেলস
জানা-অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো আমাদের মনে থাকলেও কত গল্পই তো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ২০ মার্চ ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল, যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

ক্লাস সিক্সের বাংলা পাঠ্যবইয়ের ‘সুখী মানুষ’ গল্পটির কথা কি তোমাদের মনে আছে? নাট্যকার মমতাজউদদীন আহমদের লেখা গল্পটি ছিল বনের ধারে বাস করা একজন সুখী মানুষকে নিয়ে। যাঁর গায়ে জামা না থাকলেও, জীবনে সুখের কমতি ছিল না। কেন সুখী, জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, অল্প আয়ে তাঁর দিন চলে যায়। বাড়তি কিছু না থাকায় ঘরে চোরের ভয় নেই। রাতে ঘুমাতে পারেন আরাম করে। সুখী হতে আর কী লাগে? তুমিও যদি এই সুখী মানুষের মতো একজন হয়ে থাকো, তবে আজ তোমার জন্য একটি বিশেষ দিন। আজ বিশ্ব সুখ দিবস। ২০১২ সালের ১২ জুলাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আজকের এই দিন; অর্থাৎ ২০ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ বলে ঘোষণা করা হয়। জীবন নিয়ে সুখী এবং ভালো থাকার উদ্দেশ্যে পালিত হয় দিনটি। আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করে বিশ্ববাসীর সুখ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিনটি পালন করা হয়। দিবসটি পালনে সবার সামনে প্রস্তাবটি প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান আনলেও এর মূল প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ জেম এলিয়েন।

দিনটি ঘিরে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’। ২০২৩-এর এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩৭টি সুখী দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে ফিনল্যান্ড। এরপরই আছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। তবে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ পেছনের দিকে। যেখানে ২০২২-এ বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪তম সেখানে ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সেটা পিছিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮ নম্বরে। সুখী দেশ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই প্রতিবেদনে মোট ছয়টি সূচক যাচাই করা হয়। এগুলো হলো দেশের জিডিপি, সামাজিক সহায়তা, সুস্থ জীবনযাপনের প্রত্যাশা, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, বদান্যতা, দুর্নীতি নিয়ে মনোভাব ও ডিসটোপিয়া।

আরও পড়ুন

এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র তামিম ইকবাল আজ পা রাখছেন ৩৫ বছর বয়সে। বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার ১৯৮৯ সালের আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের বিখ্যাত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট পরিবারে বেড়ে ওঠা তাঁর। তাঁর চাচা আকরাম খান একসময় টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে। তামিমের ভাই নাফিস ইকবালও ছিলেন ক্রিকেটার। ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনালে অভিষেক হয় তামিম ইকবালের। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে তামিম ইকবালের সংগ্রহ ৫১৩৪ রান। ওডিআই ক্রিকেটে এই রানের সংখ্যা ৮৩৫৭ এবং টি-টোয়েন্টিতে সংগ্রহ করেছেন ১৭৫৮ রান। আজকের এই বিশেষ দিনে তামিম ইকবালকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!