লাখ টাকার কুইজের পুরস্কার বুঝে পেল বিজয়ী
চট্টগ্রামের কুসুমকুমারি সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রত্যয়ী রায়। সে কিশোর আলো লাখ টাকার কুইজে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী। কিশোর আলোর কার্যালয়ে এসে পুরস্কার বুঝে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ঠাকুরমা মারা যাওয়ায় নিজে এসে উপস্থিত হতে পারেনি। প্রত্যয়ীর পক্ষ থেকে এসেছে প্রত্যয়ীর মামা। কিআ সম্পাদক প্রত্যয়ীর মামার হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন। পুরস্কার নিয়ে প্রত্যয়ীর মামা বলেন, ‘প্রত্যয়ী নিয়মিত কিশোর আলো পড়ে। কিশোর আলোর লাখ টাকার কুইজে পুরস্কার পেয়ে প্রত্যয়ী ভীষণ খুশি হয়েছে। ও নিজ হাতে পুরস্কার নিতে চেয়েছিল। কিন্তু সম্ভব হলো না।’
নাজিফা নাওয়াল ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। কিআ কার্যালয়ে নাজিফা এসেছে বাবার সঙ্গে। নাজিফা জিতেছে মুঠোফোন। পুরস্কার পেয়ে সে নাজিফা বলে, ‘আমার স্কুলে আজ ক্লাস পার্টি ছিল। সেখান থেকে সরাসরি অনুষ্ঠানে এসেছি।’ নাজিফার বাবা যোগ করে, আজ শুধু ওরা স্কুল ড্রেসের বাইরে নিজের খুশিমতো পোষাক পরে স্কুলে যেতে পেরেছে। নাজিফা নিয়মিত কিশোর আলোর মাসিক সভা কিআড্ডায় অংশ নেয়। মুঠোফোন হাতে কিশোর আলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছে নাজিফা।
২৫ জানুয়ারি বেলা তিনটায় কিশোর আলোর কার্যালয়ে লাখ টাকার কুইজ প্রতিযোগিতার প্রথম দুই বিজয়ীকে নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ীর হাতে যথাক্রমে তুলে দেওয়া হয় ল্যাপটপ ও মুঠোফোন। পুরস্কার তুলে দেন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোর আলোর সহযোগি সম্পাদক আদনান মুকিত, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক আহমাদ মুদ্দাসসের, প্রদায়ক আব্দুল ইলা এবং স্বেচ্ছাসেবক নাজিয়া মারজানা। ছিলেন বিজ্ঞানচিন্তার সহসম্পাদক উচ্ছ্বাস তৌসিফ এবং কাজী আকাশ, প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা এবং সহকারী কর্মসূচি ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী।
গত বছর অক্টোবর মাসে প্রথম আলোর পাতায় ছাপা হয়েছিল লাখ টাকার কুইজ। চারটি সহজ প্রশ্ন ছিল কুইজে। চারটি করে অপশনও দেওয়া ছিল। টিক চিহ্ন দিয়ে নিজের নাম–ঠিকানা লিখে কিশোর আলোয় পাঠিয়েছিল সবাই। কিশোর আলোতে যে বিষয়ে লেখা পড়তে চায়, সেটিও এই কুইজে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কেউ ভূতের গল্প পড়তে চায়, কেউ বিজ্ঞান বা কবিতা পড়তে চায়। লটারি করে এই কুইজ থেকে বিজয়ী বাছাই করা হয়েছে। লটারিতে বিজয়ীদের নাম ছাপা হয়েছে কিশোর আলো নভেম্বর সংখ্যায়।
প্রত্যয়ী রায় ও নাজিফা নাওয়াল ছাড়া আরও ১৮ জন বিজয়ী হয়েছে এই প্রতিযোগিতায়। তারা প্রত্যেকেই পেয়েছে এক হাজার টাকার বই। প্রত্যেকের ঠিকানায় বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই আয়োজনে সহযোগীতা করেছে এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড। পুরস্কারগুলো ছিল এই প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে।