মিনি কোথায়

আজ সন্ধ্যায় নিজের জামাকাপড় ভাঁজ করে আলমারিতে রাখতে গেলাম। আলমারি খুলে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখলাম জামাগুলো। এবার আমার কাজ হলো, আমার আদুরে পোষা বিড়াল মিনিকে খাবার দেওয়া। আমি ওর খাবারের বাটিতে খাবার দিলাম। ওকে ডাকলাম, ‘আয় মিনি, আয়।’ কিন্তু ও এল না। আমি ওকে আবার ডাকলাম, কিন্তু এবারও এল না ও। আমার মা আমাকে বলল, ও হয়তো বাইরে গেছে। কিন্তু কিছু সময় আগেও আমি ওকে ঘরে দেখলাম, আর এতটুকু সময় মধ্যে কেউ ঘরের সদর দরজাটাও খোলেনি। তাহলে ও গেল কোথায়? এবার আমি ওর নাম ধরে ডাকতে থাকলাম, সারা ঘরে ওকে খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু পেলাম না।

ও সাধারণত ঘরের বাইরে যায় না। আর গেলেও ঘরের আশপাশেই থাকে আর এক ডাকেই চলে আসে। আমি ওকে খুঁজে না পেয়ে কান্না শুরু করলাম। পরক্ষণেই আমার মা এসে আমাকে বলে, ‘না কেঁদে ওকে খোঁজো, ঠিক পেয়ে যাবে।’ কিন্তু তা-ও আমার কান্না থামল না। আমি কাঁদো কাঁদো গলায় মিনি বলে ডাকতে ডাকতে আমার সেই আলমারির কাছে গেলাম। আলমারির কাছে গিয়ে শুনলাম, মিনি ডাকছে ‘মিউ মিউ’। আমি সঙ্গে সঙ্গে আলমারির পাশে থাকা খাটটার নিচে ওকে খুঁজতে লাগলাম, কিন্তু পেলাম না। আমি আবার ওর নাম ধরে ডাকলাম। আবারও সাড়া দিল। এবার আমি বিসমিল্লাহ বলে আলমারিটা খুললাম। খুলেই দেখি, মিনি আলমারির ভেতরে। আমি ওকে পেয়ে জোরে চিৎকার দিয়ে বললাম, ‘পেয়েছি! মিনিকে পেয়েছি!’ আমার চিৎকার শুনে আমার মা এসে বলল, ‘কোথায় পেয়েছ ওকে?’ আমি বললাম, ‘আলমারিতে।’ মা হেসে বলল, ‘ভালোই তো, ওকে আলমারিতে গুছিয়ে রেখে বেশ হয়রানির শিকার হতে হলো তোমায়।’ এই কাহিনির পর থেকেই মিনিকে খুঁজে না পেলে আমি প্রথমেই আলমারিতে ওকে খুঁজি।

আরও পড়ুন