যে গণিতবিদের হাত ধরে এসেছে সুডোকু

লিওনার্দ অয়লার (১৭০৭-১৭৮৩)

লিওনার্ড অয়লার সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ গণিতবিদ। তিনি প্রায় ৯০০টি বই প্রকাশ করেছেন। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে যখন তিনি অন্ধ হয়ে যান, তখন অনেক ক্ষেত্রে তাঁর সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তাঁর বিখ্যাত সূত্র eiπ + 1 = 0, যেখানে e হলো গাণিতিক ধ্রুবক, কখনো কখনো অয়লার সংখ্যা হিসেবেও পরিচিত। ‘i-1 এর বর্গমূল’ ব্যাপকভাবে গণিতে ব্যবহার করা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ইকুয়েশনগুলোর মধ্যে এটিকেও ধরা হয়। একসময় তিনি লাতিন স্কয়ারে আগ্রহী হন। তাঁর আগ্রহ থেকেই আজ আমরা পেয়েছি সুডোকু। অয়লার টটিয়েন্ট ফাংশন ও প্রাইম সংখ্যার বন্টন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। গ্রাফ তত্ত্বে তিনি ‘কোনিগসবার্গের সেতু সমস্যা’ সমাধান করেন, যা এই শাখার সূচনা ঘটায়। অয়লার সূত্র (V−E+F=2) সমতল গ্রাফ এবং বহুপৃষ্ঠের গাণিতিক সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কার্ল ফ্রেডরিখ গাউস (১৭৭৭-১৮৫৫)

কার্ল ফ্রেডরিখ গাউস গণিতবিদদের রাজপুত্র হিসেবে পরিচিত। গাউস ঊনবিংশ শতাব্দীর গণিতের অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি একজন আবেগপ্রবণ পারফেকশনিস্ট, নিখুঁত না হলে তিনি কাজ প্রকাশ করতেন না। তাঁর উপপাদ্যগুলোর ওপরে বারবার কাজ করে আরও উন্নত করতে পছন্দ করতেন। নন-ইউক্লিডীয় জ্যামিতি নিয়ে তাঁর বৈপ্লবিক আবিষ্কার মৃত্যুর পর তাঁর নোটগুলোয় পাওয়া যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের তথ্য বিশ্লেষণের সময় তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পরিমাপের ত্রুটি একটি বেল বক্ররেখা তৈরি করে। এই আকৃতিটি এখন গাউসিয়ান কার্ভ নামে পরিচিত। গাউস সংখ্যাতত্ত্ব, বিশ্লেষণ, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যামিতি এবং চৌম্বকত্বে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। ২১ বছর বয়সে প্রকাশিত তাঁর বই Disquisitiones Arithmeticae আধুনিক সংখ্যাতত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করে। তিনি মডুলার গাণিতিক, ত্রিকোণমিতি, এবং সম্ভাব্য ত্রুটির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করেন।

আরও পড়ুন