বুদ্ধির ব্যায়াম
মাপতে পারো হাত ও পায়ের সাহায্যে
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে হিসাব-নিকাশের জন্য নানা গ্যাজেট পাওয়া যায়। ফলে আমরা বেশি মাথা খাটাতে চাই না। সমস্যার সমাধান করে দেয় গ্যাজেট। তবে এখানকার সমস্যাগুলোর সমাধান গ্যাজেটের সাহায্যে করা যাবে না। করতে হবে বুদ্ধি খাটিয়ে।
মিসরীয়রা ছোট ছোট জিনিস পরিমাপের জন্য হাত ব্যবহার করত।
মনে করো, তুমি একটা জাহাজে চেপে গুপ্তধন খুঁজতে বেরিয়েছ। নির্দিষ্ট জায়গায় খুঁজে পেয়েছ মহামূল্যবান গুপ্তধন। তা নিয়ে ফিরছ নিজ দেশে। কিন্তু পথে ঝড়ের কবলে জাহাজডুবি হয়। একটা লাইফ বোট নিয়ে কোনোরকমে ভাসতে ভাসতে পৌঁছেছ এক দ্বীপে। সঙ্গে গুপ্তধন নিতে ভুল করোনি। তুমি জানো, দ্বীপে কোনো জনবসতি থাকলে গুপ্তধন ছিনিয়ে নেবে। তাই ওগুলো লুকিয়ে রাখতে চাও মাটির নিচে। এখন তোমাকে এই দ্বীপে একটা নিরাপদ জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। তবে এমন জায়গায় লুকাতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এসে তা খুঁজে পাও। দূরে একটা লম্বা পামগাছ দেখা যাচ্ছে। গাছের পাশেই রয়েছে নরম বালু।
রোমানরা বেশি দূরত্ব পরিমাপের জন্য হাঁটার গতি এবং পায়ের ধাপ ব্যবহার করত।
এই কল্পনাকৃত জায়গায় তোমাকে গুপ্তধন লুকিয়ে রাখতে হবে। কাজটা তুমি কীভাবে করবে? নিজের মতো করে একটা সমাধান ভাবো। আর আমিও একটা সমাধান দিচ্ছি। দেখো তো মেলে কি না!
সমস্যাটির সমাধান করতে হবে বিশ্বের প্রথম পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে, অর্থাৎ মানবদেহের সাহায্যে। প্রাচীন মিসরীয় ও রোমানরা এই পদ্ধতিতে পরিমাপ শুরু করেছিল। অর্থাৎ পা মেপে মেপে পথ মাপা। প্রথমে পা মেপে মেপে পামগাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে গুপ্তধন লুকিয়ে রাখতে হবে। কত ধাপ বা কদম দূরে লুকিয়ে রেখেছ সেটা মনে রাখলেই সম্পদ খুঁজে পাওয়া যাবে। অবশ্য এই পদ্ধতিতে একটা সমস্যা আছে। কারণ, পৃথিবীর সব মানুষের হাঁটার গতি সমান নয়। তা ছাড়া প্রত্যেকের পায়ের আকারও আলাদা। তাই একজনের পায়ের মাপের সঙ্গে অন্যজনের পায়ের মাপ না–ও মিলতে পারে। অর্থাৎ তোমার ২০ কদমের সমান অন্যজনের ১৫ বা ২৫ ধাপ হতে পারে। সমাধান কি বেশি সহজ হয়ে গেল?