মার্কিন কপিরাইট আইনের সূচনা

বাংলাদেশ কপিরাইট
জানা অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটা পাতা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো মনে দাগ কাটলেও, কত গল্পই তো আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ৩১ মে, ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

ধরো তুমি একটি ছবি আঁকলে কিংবা গল্প লিখলে। একদিন জানতে পারলে তোমরা সৃষ্টি করা ঐ শিল্প অন্য একজন নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। ধরে নাও সে নিজের মন মতো দরে সেটি বাজারে বিক্রি করে অর্থ আয় করছে। সে যেই টাকা লাভ করছে তাঁর কিছুই কিন্তু সেই শিল্পের মালিক কিংবা তোমার কাছে পৌছাচ্ছে না। ব্যাপারটা কী তুমি মেনে নিবে? এটা তো খুবই ছোট একটি ঘটনা। এমন আরও অনেক জটিল সমস্যা থেকে শিল্পীদের রক্ষা দিতে ব্যবহার করা হয় কপিরাইট আইন। কপিরাইট হচ্ছে মৌলিক সৃষ্টিকর্মের মালিকানা বা সত্ত্বাধিকারী নিশ্চিতকরণ। তবে কপিরাইটের একটি মেয়াদ আছে। বেশিরভাগ সময় এর মেয়াদ ৬০ বছর। 

এখন আসি কপিরাইট আইনে। এই আইন অনুয়ায়ী, শিল্পী নিজে ব্যতীত কেউ যদি তার মৌলিক সৃষ্টি, সেটা হোক সাহিত্য বা কোনো লেখা, শিল্পকর্ম, সংগীত, চলচ্চিত্র, স্থাপত্য, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য ইত্যাদি নিজের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করে তবে তা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে চিহ্নিত হবে। ১৭১০ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম কপিরাইট আইনের সূচনা হয়। শুরুটা শুধু বইয়ের কপিরাইটের জন্য হলেও ১৭৯০ সালের আজকের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ কপিরাইট আইনের সূচনা হয়। বাংলাদেশে প্রথম কপিরাইট আইন তৈরি হয় ১৯৭৪ সালে। পরবর্তীতে ২০০০ সালে নতুন একটি কপিরাইট আইন করা হয় এবং ২০০৫ সালে তা পুনরায় সংশোধন করা হয়।

এছাড়াও ১৫৭৭ সালের আজকের এই দিনে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রথম সম্রাজ্ঞী নূর জাহান জন্মগ্রহণ করেন।