শার্লক হোমসকে সাহায্য করো
ছয় ফুটের বেশি লম্বা, তুখোড় বুদ্ধিমান এক গোয়েন্দা শার্লক হোমস। কিছুই যেন তাঁর চোখ এড়ায় না। বাজপাখির মতো নাক নিয়ে গন্ধ শুঁকে চলে যান খুনির কাছে। ক্ষুরধার বুদ্ধি ও কল্পনাশক্তির সাহায্যে লন্ডন পুলিশের হেডকোয়ার্টার ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের হিরো বনে গেছেন হোমস। জন ওয়াটসন পেশায় ডাক্তার। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, হোমসের বন্ধু ও রুমমেট। হোমসের সাহায্যকারীও বলা চলে। আর শার্লক হোমস গল্পের লেখকও তিনি। মিস্টার লেস্ট্রেড স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশ কর্মকর্তা। হোমসকে তেমন পছন্দ করেন না, কিন্তু তাঁর কাছে না গিয়েও উপায় নেই লেস্ট্রেডের। ২২১বি, বেকার স্ট্রিট শার্লক হোমস ও ওয়াটসনের লন্ডনের বাসা। এই বাসার চার দেয়ালের মধ্যেই হোমসের মগজের বুদ্ধি, হাসি, রাগ, ভায়োলিনের শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়। এবার চলো আমরাও বেকার স্ট্রিটে যাই। যোগ দিই হোমস ও ওয়াটসনের সঙ্গে। ওদের দুজনকে একটু সাহায্য করার চেষ্টা করি। বোঝার চেষ্টা করি অপরাধীদের পরবর্তী চাল কী হতে পারে!
বিখ্যাত একজন বিজ্ঞানীকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁকে উদ্ধারের জন্য হোমসের সাহায্য চেয়েছেন ইন্সপেক্টর লেস্ট্রেড। হোমস ও ওয়াটসন বিজ্ঞানীর ল্যাবে পৌঁছে গেছেন। ভালোভাবে ল্যাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন হোমস ও ওয়াটসন। তাঁরা বুঝতে পারলেন, বিজ্ঞানীর তিন সহকর্মী-মাইকেল, হেনরি ও টিনার মধ্যে কেউ তাঁকে অপহরণ করেছে।
কিন্তু কে আসল অপরাধী, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। আরও কিছুক্ষণ খোঁজার পর একটা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র খুঁজে পেলেন হোমস। অপহরণকারী বিজ্ঞানীকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করে একটা নোট লিখে গেছেন। দেখে মনে হয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল। নোটে লেখা:
এটা ছিল টাইটেনিয়াম ও সোডিয়াম…
এটা দেখে হঠাৎ হো হো করে হেসে উঠলেন হোমস। এর মানে, তিনি অপরাধীকে ধরে ফেলেছেন।
এখন তুমি কি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে বের করতে পারবে কে বিজ্ঞানীকে অপহরণ করেছে?
গবেষণাগারে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌল ও অ্যাসিড:
উত্তর: টাইটেনিয়াম ও সোডিয়ামের সংকেত যথাক্রমে Ti ও Na। পাশাপাশি সংকেত দুটি বসালে হয় TiNa (টিনা)