‘নানাভাই’ শব্দটির দৈর্ঘ্য যতটা না দীর্ঘ, তার চেয়েও কয়েক গুণ দীর্ঘ আমার জীবনে তাঁর তাৎপর্য। মানুষ হওয়ার এই জীবনসংগ্রামে সে যেন আমার এক সহযোগী যোদ্ধা। নানাভাই জানো তো, এ পি জে আবদুল কালামের যেমন একটি ভালো বন্ধু ছিলেন, যিনি একটি সম্পূর্ণ লাইব্রেরির সমান, আমার জীবনে সে বন্ধুটি হচ্ছো তুমি। আমার জীবনে সৃষ্টিকর্তা তোমার ভূমিকা একটি পদে সীমাবদ্ধ রাখেননি। এই যে ভাইয়ের প্রয়োজন হলেই দুর্গার সে ‘অপু’, আবার প্রশান্তির কথা বললেই বিভূতিভূষণের ‘পূর্ণয়া’ জেলার অরণ্যের ভূমিকায় আর অভিভাবক ও তত্ত্বাবধায়কে ভূমিকায় তো তুমি রয়েছ সর্বক্ষণই। শৈশবে হাত ধরে বাজারে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সাতকাহন হাতে তুলে দেওয়া—এক আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি হওয়ার পথচলায় তোমার অবদান অতুলনীয়। এই ঋণ অপরিশোধ্য নানাভাই। শেষমেশ শুধু বলতে চাই—
নানাভাই, হাজারো সুপারহিরোর ভিড়ে আমি চিনি শুধু তোমাকে।
আমার পথচলা তোমারই হাত ধরে। বলো তো কীভাবে দিই এর প্রতিদান?
কাটিয়েছি ছেলেবেলা আদরের সঙ্গে
কাটাতে যে চাই আরও বহুদিন তোমরাই স্নেহের ছায়ায়।
নানা, তুমি যে আমাদের জন্য বিধাতা কর্তৃক এক অমূল্য উপহার।
লেখক: শিক্ষার্থী, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ