ঢাকায় এক আম বিক্রেতাকে ক্রেতা বললেন, কী মিয়া তোমার আম তো ছোট! আমওয়ালা জবাব দিল, সাহেব, আপনি খালি আমার আমের বাইরের দিকটা দেখবেন, ভেতরের রূপ দেখবেন না! আমার আমের আঁটি বড়।
বিখ্যাত লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, একই কৌতুক বিলেতে প্রচলিত আছে। অফিসের কর্তা তাঁর কর্মচারীকে বললেন, আপনি নাকি রোজ দেরি করে অফিসে আসেন? কর্মচারী বলল, স্যার আপনি শুধু কি আমার আসাটা দেখবেন। যাওয়া দেখবেন না? আমি রোজ তাড়াতাড়ি অফিস ছেড়ে বাড়ি চলে যাই।
আসলে পৃথিবীটা ছোট। একই ব্যাপার বিভিন্ন দেশে প্রচলিত আছে। আমি মেক্সিকোয় গিয়ে দেখতে পেয়েছি, সেখানকার আদিবাসীরা বাংলাদেশের রিকশা পেইন্টিংয়ের মতো ছবি আঁকেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পল্লী সাহিত্য প্রবন্ধে বলেছেন, ‘আমরা Shakespeare-এ পড়েছি রাক্ষসদের বাঁধা বুলি হচ্ছে Fi, Fie, Foh, fun! smell the blood of a British man–এর সঙ্গে তুলনা করা যায় পল্লির ‘হাঁউ, মাঁউ, খাঁউ, মানুষের গন্ধ পাঁউ!’
পৃথিবীটা অনেক বড়। কিন্তু মানুষের অনেক কিছু্ই অভিন্ন। সবার হাসি এক রকম, সবার কান্নাও এক রকম। সবাই নিজের সন্তানদের ভালোবাসে।
পৃথিবীতে যদি হানাহানি না থাকত, যুদ্ধবিগ্রহ না থাকত, কী সুন্দর ব্যাপারই না হতো। আমরা সব সময় যুদ্ধের বিপক্ষে থাকব। শান্তির কথা বলে যাব।