সেদিন সকালে আব্বুর অর্ধচন্দ্র খেয়ে ঘুম থেকে উঠতে হলো। ঘুমের রেশ কাটানোর জন্য ঢুলু ঢুলু চোখে হাঁটছিলাম। তখন সবে সাড়ে ছয়টা। সূর্য তার রক্তিম লালিমা নিয়ে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে। আমাদের বারান্দার সামনে কিছু দূরে একটা বিল্ডিং। বিল্ডিংয়ের সামনের দিকে নিচের অংশে সবুজ বিছিয়ে দিয়েছে একটা খর্বাকৃতির গাছ। আর বিল্ডিংয়ের ছাদে যেন উড়ে এসে জুড়ে বসেছে একটা ছোট টিনের ঘর। টিনের ঘরের শ্বেতাভ নীলরঙা চালাটা দেখলে মনে হয়, যেন তা আকাশের নীল সমুদ্রে ডুব দিয়ে মিশে গেছে। তাই ওই টিনের ঘরটা আমার খুব প্রিয়। উঁচু ওই টিনের চালায় বসেছিল তিনটি শুভ্ররঙা কবুতর। তারা একসঙ্গে কিছুক্ষণ খোশগল্প করল। তারপর দুই শুভ্র বন্ধুকে দেখলাম পাশের বিল্ডিংয়ের ওপরে কয়েক রাউন্ড মর্নিং ফ্লাই করতে। দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল! নীল আর সাদার কী দারুণ রসায়ন! এরপর দুই বন্ধু উড়ে গিয়ে আবারও সেই নীলরঙা চালায় বসে পড়ল। পরে উড়ে গেল তৃতীয় বন্ধু। হয়তো মর্নিং ফ্লাইয়ে তাকে সঙ্গে না নেওয়ায় রাগ করেছে!