আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা, মেরি কুরির চলে যাওয়া

জানা অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটা পাতা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো মনে দাগ কাটলেও, কত গল্পই তো আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ০৪ জুলাই, ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশ। শিল্প, অর্থনীতি, বিনোদন সবকিছুতেই যেন পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে একটু এগিয়ে। প্রায় আড়াই শ বছর আগে ১৭৭৬ সালের আজকের এই দিনে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার।

মূলত এর দুই দিন আগে ২ জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রথম খসড়াটি লেখা হয়। তাহলে ৪ জুলাই এল কোথা থেকে? আসলে, ২ জুলাই লেখা সেই খসড়ায় পরের দুই দিন সময় নিয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়। তারপর ৪ জুলাই এটি পূর্ণভাবে প্রস্তুত হলে কনটিনেন্টাল কংগ্রেস খসড়ার প্রতিটি শব্দকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে। খসড়াটি ৪ জুলাই সঠিক ও চূড়ান্ত বলে গৃহীত হওয়ায় সেই দিনকেই দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার দিন বলে গণ্য করা হয়।

ঘোষণাপত্রটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব নেন ফিলাডেলফিয়ার জন ডানল্যাপ। তিনি ‘ডিক্লেয়ার অব ইনডিপেনডেন্স’ নামে ঘোষণাপত্রটি প্রথমবারের মতো তার ‘ডানল্যাপ ব্রডসাইড’-এ ছাপান, যেটি ছিল খবরের কাগজের মতো চওড়া একটা কাগজ। তারপর সেটি পাঠানো হয় সব কটি স্টেট কিংবা প্রদেশে।

সেই বছরের আগস্ট মাসে, এই ঘোষণাপত্রের হাতে লেখা একটি কপিতে এর সঙ্গে সংযুক্ত দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা স্বাক্ষর করেন। এটি এখন ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় সংরক্ষণশালায় প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে।

মেরি কুরির বিদায়

মেরি কুরি

আজকের এই দিনে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন প্রথম নারী নোবেলবিজয়ী মেরি কুরি। একবার পদার্থবিজ্ঞান ও আরেকবার রসায়নবিদ্যায় নোবেল জয় করেছেন তিনি। অবশ্য রেডিয়াম এবং পোলোনিয়ামের আবিষ্কারক মেরি কুরিকেই নাকি একসময় শুনতে হয়েছিল, বিজ্ঞান নয়, বরং রান্নাঘরের রান্না শেখার কথা। ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর পোল্যান্ডে জন্ম নেন এই প্রতিভাবান নারী। পুরো জীবনে অদম্য এই নারী নিজের অসীম প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানকে করেছেন সমৃদ্ধ। ১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই ফ্রান্সে মারা যান তিনি।

আরও পড়ুন