ফাল্গুন মাসে ফুলে ভরে ওঠে গাছপালা। আমগাছে আসে মুকুল। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে আছে, ‘ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে’। তারপর আসে চৈত্র। ১৩১৭ সনের ৩০ চৈত্র রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘যত বিঘ্ন দূর করো, যত ভগ্ন সরিয়ে দাও, যা কিছু ক্ষয় হবার দিকে যাচ্ছে সব লয় করে দাও—হে পরিপূর্ণ আনন্দ, পরিপূর্ণ নূতনের জন্যে আমাকে প্রস্তুত করো’। তারপর বৈশাখ। ‘এসো হে বৈশাখ। তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক।’
আমরা চাই বা না চাই, প্রকৃতিতে কালবৈশাখী আসবেই। গুটি আম ঝরবেই। কৃষক খেতে যাবেন, মৃৎশিল্পীরা পণ্য নিয়ে যাবেন মেলায়, ব্যবসায়ীরা হালখাতা করবেন। নববর্ষ আসবে, সাজবে প্রকৃতি। এ নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম ঘটবে না।
শুভ নববর্ষ।
নববর্ষ উপলক্ষে এসো একটা ভালো কাজের পরিকল্পনা করি। আসছে বর্ষায় না হয় একটা গাছ লাগালাম।
সবাই ভালো থেকো।
আরও পড়ুন