ঘোড়ার ডিম

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

আমার বয়স যখন সাড়ে চার বছর, তখন প্রথম আম্মুকে ছাড়া নানুবাড়ি বেড়াতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমার আঁখি আন্টি আমাকে পাশের এক বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেই বাড়ির একটা মেয়ে, মানে আমার আন্টির বান্ধবী হাতে একটা গোল জিনিস নিয়ে আসে। আমি বললাম, এটা কী? আন্টির মা পাশ থেকে বললেন, ‘এইডে ঘোড়ার ডিম গো নানুবাই।’ এই নাম আগে আমি শুনিনি। তাই একটু আগ্রহ তৈরি হলো মনে। এরই মধ্যে আমার ছোট মামা আমাকে নিতে চলে এল। আব্বু নাকি আমাকে নিতে এসেছে। ছোটবেলা থেকেই বাবাভক্ত মেয়ে আমি। সঙ্গে সঙ্গে চলে এলাম। তখন কিছু না বললেও বাড়িতে এসে কান্না জুড়ে দিলাম ঘোড়ার ডিম খাওয়ার জন্য। এত কান্না করলাম যে পরদিন আম্মু-আব্বু আমাকে নিয়ে আবার নানুবাড়িতে আসে। আর আঁখি আন্টিকে দিয়ে সেই ঘোড়ার ডিম নিয়ে আসে। অনেক পরে জানতে পারি যে ঘোড়ার ডিম বলে কিছু হয় না। ওটা ছিল ছৈলা নামের একপ্রকার ফল।

লেখক: শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি, উদ্দীপন বদর সামসু বিদ্যানিকেতন, বাগেরহাট