শুনলে হয়তো বিশ্বাস করবে না, কিন্তু সত্যি কথা, আমাদের ডেস্কগুলোয় আর জায়গা নেই। কিআর জন্মদিন উপলক্ষে এত এত চিঠি পাঠিয়েছ তোমরা, মাঝেমধ্যে কম্পিউটারের মাউস, কলম হারিয়ে ফেলছি আমরা। সেখান থেকে কিছু শুভেচ্ছাবার্তা আমরা কোনোভাবে আঁটাতে পেরেছি দুই মলাটে। বাকি অসংখ্য শুভেচ্ছা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জায়গা দিতে পারলাম না। এ জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। কিন্তু আমরা সবকটি চিঠি-ইমেইল পড়েছি। তোমাদের জন্য অনেক ভালোবাসা।
চার বছর আগে হকার আঙ্কেল পত্রিকার সঙ্গে একটা চিকন বই দিয়ে যায়। হাতে নেওয়ার পর বুঝলাম, এটা আমার মতো কিশোরদের জন্য তৈরি করা ম্যাগাজিন। আমি আগে থেকেই ম্যাগাজিনের ভক্ত। তাই পড়া শুরু করলাম। শুধু কিশোরদের জন্য লেখা এত সুন্দর সুন্দর গল্প, ফিচার, কমিকস আগে কখনো পাইনি। পড়তে ভালো লাগল বলে বাবাকে এর পরের মাসেরটা আনতে বললাম। তার পর থেকে প্রতি মাসেই পড়ছি। প্রতি মাসে কিআ পেলে নতুন নতুন অনেক কিছু জানতাম, শিখতাম, আবিষ্কার করতাম। শুধু তখন নয়, এখনো কিআ হাতে পেলে মনে হয়ে, জীবনের একটি চাহিদা পূর্ণ হলো। কিআ আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। ১১তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ভালো থেকো।
লেখক : শিক্ষার্থী, সপ্তম শ্রেণি, খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চবিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ