বিমানে চেপে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে নানা ধাপ পেরোতে হয়। সিকিউরিটি চেকআপ, লাগেজ ড্রপ ও ডিপারচার বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে টার্মিনালে বিমানের জন্য অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়ে ওঠেন অনেকে। লম্বা বিরক্তিকর সময়ের পর যখন বিমানের নির্ধারিত আসনে আরাম করে বসতে যাবেন, তখন যদি কোনো শিশু কান্না শুরু করে, তাহলে বিমানযাত্রায় বিশ্রাম নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
শিশুদের একটানা কান্না সামাল দিতে অনেক অভিভাবকও হিমশিম খেয়ে যান। অনেক বিমানযাত্রায় এ দৃশ্য দেখা যায়। এই পরিস্থিতির কথা ভেবেই ‘কোরেনডন’ নামের এক টার্কিশ বিমান কোম্পানি অ্যামস্টারডাম থেকে ক্যারিবীয় কুরাসাওগামী বিমানে চালু করতে যাচ্ছে ‘শিশুমুক্ত অংশ’। ইউরোপীয় বিমানে এই বৈশিষ্ট্য প্রথমবারের মতো দেখা যাবে।
এই বিশেষ অংশের সেবা গ্রহণ করতে পারবে সর্বোচ্চ ৯৩ যাত্রী, যাঁদের আসনব্যবস্থা থাকবে বিমানের সামনের অংশে আলাদা কেবিনে। বিশেষ পর্দা ও দেয়াল দিয়ে আলাদা করা হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিমানের এ সেবা কেবল দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া যাত্রীদের শান্তিতে ঘুমাতে সাহায্য করবে, তা নয়, মা-বাবারও সন্তানের জন্য চিন্তা কিছুটা কমিয়ে দেবে। সন্তানেরা বিমানের অন্যান্য যাত্রীর বিরক্তির কারণ হবে না। সেবাটি বেশ জনপ্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোরেনডনের শিশুমুক্ত অংশ ব্যবহারের জন্য প্রতি যাত্রায় গুনতে হবে বাড়তি ৪৫ পাউন্ড।
অনেক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এ পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে এয়ার এশিয়া এক্স বিমানে ১২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদের জন্য দূরের পথ পাড়ি দেওয়া কিছু বিমানে ‘কোয়াইট জোন’-এর ডিজাইন করে। সিঙ্গাপুরের বিমান স্কুট তাদের বিমানের ইকোনমি ও বিজনেস ক্লাসের মাঝখানে রেখেছে ‘স্কুটিনসাইলেন্স’ নামের বিশেষ অংশ। ইন্ডিগো ও মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসেও এমন সেবা চালু আছে।
নিউজইউক পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ১ হাজার ৫০০ প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষই গণপরিবহনে শিশুমুক্ত অংশ চায়।