অসীমের ছবি আঁকা কি সম্ভব
অসীম সংখ্যা শুনলেই অনেকে ভয় পায়। কারণ, তারা অসীম সংখ্যা অনুধাবন করতে পারে না। ইংরেজিতে একে বলে ইনফিনিটি। মানে যে অঙ্ক বা সংখ্যার শেষ নেই। ৭-কে ৩ দিয়ে ভাগ করলে অসীম সংখ্যা পাওয়া যাবে। উত্তর হবে ২.৩৩৩৩৩৩…। তুমি যতবার ভাগ করবে, ততবার দশমিকের পরে ৩ আসবে। এর কোনো শেষ নেই। তাই একে বলে অসীম। গণিতে এটি খুব দরকার। এমন অনেক ধারা বা সিকোয়েন্স আছে, যার কোনো শেষ নেই। যেমন পাইয়ের মানের কোনো শেষ নেই, অসীম।
অসীমের চিত্রকর্ম
ডাচ চিত্রশিল্পী মরিটস কর্নেলিস এসচার (১৮৯৮-১৯৭২) প্রায়ই তাঁর অদ্ভুত ও সুন্দর ছবিতে অসীমের ধারণা ব্যবহার করতেন। তিনি একটা ছবিতে একই জিনিস বারবার আঁকতেন। এই ছবিটাই দেখো না! একেবারে শুরুর টিকটিকিগুলো আকারে বড়। ধীরে ধীরে যত কেন্দ্রের দিকে (মাঝে) যাচ্ছে, টিকটিকি তত ছোট হচ্ছে। মনে হচ্ছে এই ছোট হওয়ার কোনো শেষ নেই। যত কেন্দ্রের দিকে যাবে, তত ছোট টিকটিকি দেখতে পাবে।
অসীম মহাবিশ্ব
বেশির ভাগ মানুষ হয়তো অসীম মহাবিশ্বের ধারণা পছন্দ করবে না। বুঝতে চাইবে না যে মহাবিশ্ব অনন্তকাল ধরে বাড়তে থাকবে। সবচেয়ে দূরের তারা বলে কিছু নেই। যদি তা–ই হয়, তাহলে অসীমসংখ্যক পৃথিবী ও অসীমসংখ্যক ‘তুমি’ থাকবে। এটা কল্পনা করাও কঠিন। এ কারণেই হয়তো কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, মহাবিশ্বের সীমা থাকা দরকার।
অনন্তকালে চলে যাবে
অসীমতা সম্পূর্ণভাবে বোঝা বা কল্পনা করা অসম্ভব। তবে দুটি আয়নার মাঝে দাঁড়িয়ে তুমি এর একটা ধারণা পেতে পারো। যেহেতু একটা আয়না অন্য আয়নাকে প্রতিফলিত করে, তাই তুমি চিরকাল আয়নার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকলে একটা আয়না অন্য আয়নাকে চিরকাল প্রতিফলিত করবে। এর কোনো শেষ হবে না।