এশিয়ান-প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের ৭ পদক
এশিয়ান-প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডের (এপিএমও) ৩৬তম আসরে মোট ৭টি পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ২টি রৌপ্য ও ৫টি ব্রোঞ্জপদক। পাশাপাশি সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছেন ৩ জন। মূলত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজিত হয়।
এবারের আসরে রৌপ্যপদক পেয়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইমাদ উদ্দীন আহমাদ ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নুজহাত আহমেদ।
এ ছাড়া সম্মানজন স্বীকৃতি পেয়েছেন বগুড়া জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জারিফ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জাওয়াদ হামিম চৌধুরী ও বরিশাল ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খান আরিফ শাহরিয়ার।
এ বছর স্বর্ণপদকের জন্য কাট মার্কস ধরা হয়েছে ১৯, রৌপ্যপদকের জন্য ১৫ ও ব্রোঞ্জপদকের জন্য ১৩। রৌপ্যপদক পাওয়া বাংলাদেশের ২ শিক্ষার্থীই পেয়েছেন ১৬ নম্বর। ব্রোঞ্জপদকপ্রাপ্ত সবাই পেয়েছেন ১৪ নম্বর। আর সম্মানজনক স্বীকৃতি পাওয়া জারিফ, হামিম ও আরিফ পেয়েছেন যথাক্রমে ১২, ১০ ও ৯ নম্বর।
এপিএমওতে এ বছর ৩৯টি দেশের মোট ৩৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ৩৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯তম। মোট স্কোর ১৩৩। এ আসরে ২৪৬ স্কোর করে প্রথম হয়েছে রিপাবলিক অব কোরিয়া। ১টি স্বর্ণপদক, ২টি রৌপ্যপদক ও ৪টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে তারা। সমপরিমাণ পদক পেয়ে যথাক্রমে ২২৩ ও ২০০ স্কোর করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও হংকং।
এপিএমওর নিয়ম অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হয়েছে নিজ নিজ দেশে। তবে ভৌগোলিক অবস্থান ও সময়ের ব্যবধানের জন্য দেশভেদে কয়েক ঘণ্টার সময় পার্থক্য হয় পরীক্ষায়। বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হলেও এপিএমওর পরীক্ষা হয় অভিন্ন প্রশ্নে। অলিম্পিয়াডে গণিতের পাঁচটি সমস্যা সমাধানের জন্য চার ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।
এপিওএমওতে শিক্ষার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে গত ১২ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ১২০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে ১০ জনের ফলাফল পাঠানো হয় এপিএমওর মূল আয়োজক কমিটির কাছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ পর্বের এপিএমওর আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।