আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

জানা অজানা অগণিত গল্প দিয়ে সাজানো ইতিহাসের প্রতিটা পাতা। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো মনে দাগ কাটলেও, কত গল্পই তো আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আজ ৭ জুন, ২০২৪। বছরের এই দিনে উল্লেখযোগ্য কী কী ঘটেছিল যা আমরা অনেকেই জানি না? ইতিহাসের পাতা থেকে চলো একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক!

আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব বাংলায় হরতাল ডাকে। সেই হরতাল চলাকালে পুলিশ ও ইপিআর সেখানে উপস্থিত নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালায়। এই গুলিতে শহীদ হন মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ মোট ১১ জন বাঙালি।

ছয় দফাকে বলা হয় বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ‘বাঙালির ম্যাগনাকার্টা’ নামেও পরিচিত এটি। এ ঘটনায় বাঙালি অধিকার আদায়ে আরও সোচ্চার হয় এবং জাতি হিসেবে মুক্তির পথে যাত্রা শুরু করে। মূলত ছয় দফা আন্দোলনের দাবিগুলো ছিল শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রা ও অর্থবিষয়ক ক্ষমতা, রাজস্ব কর ও শুল্কবিষয়ক ক্ষমতা, বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক ক্ষমতা এবং আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।

এর আগে সে বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই দফা আদায়ে ৭ জুন ডাকা হয় হরতাল। সেই থেকে প্রতিবছর ৭ জুন পালিত হয়ে আসছে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস।

আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন ঢাকার নবাব খাজা সলিমুল্লাহ। ১৮৭১ সালে তিনি ঢাকার আহসান মঞ্জিলে নবাব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ঢাকার চতুর্থ নবাব। তাঁর পিতার নাম নওয়াব খাজা আহসানউল্লাহ। পিতার মৃত্যুর পর ১৯০১ সালে ৩০ বছর বয়সে তিনি পরিবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তখন তাঁর নামের পাশে নবাব পদবি যুক্ত হয়।

আরও পড়ুন