তোমরা কি চাণক্যর নাম শুনেছ? চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা। চন্দ্রগুপ্ত সম্রাট ছিলেন আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩২১ থেকে ২৯৭ সালে। বিদ্যা আর কূটনীতির জন্য এখনো বিখ্যাত হয়ে আছেন চাণক্য।
চাণক্যর শ্লোকে অনেক উপদেশ পাওয়া যায়।
এক শ্লোকে চাণক্য বলছেন, সিংহের কাছ থেকে একটি, বকের কাছ থেকে একটি, কুকুরের কাছ থেকে ছয়টি, গাধার কাছ থেকে তিনটি, কাকের কাছ থেকে পাঁচটি এবং মোরগের কাছ থেকে চারটি গুণ শেখার আছে।
সিংহের এক গুণ: বড় কাজ, ছোট কাজ, যা–ই করা হোক না কেন, যত্ন নিয়ে সেই কাজ করতে হবে।
বকের এক গুণ: একাগ্রতা। বক একমনে ধ্যান ধরে থাকে একটা মাছের আশায়।
কুকুরের ছয় গুণ: প্রভুর উপকার করা, অল্পে খুশি থাকা, সহজেই ঘুমিয়ে পড়া, সহজেই জেগে ওঠা, প্রভুভক্তি, সাহস।
গাধার তিন গুণ: ভার বহন করা, শীতে–গ্রীষ্মে কষ্ট না পাওয়া এবং সব সময় সন্তুষ্ট থাকা।
কাকের পাঁচ গুণ: গোপন কাজ গোপনে করা, কর্তব্যে লজ্জা না পাওয়া, যথাসময়ে সঞ্চয় করা, সব সময় সতর্ক থাকা, আলসেমি না করা।
মোরগের চার গুণ: যুদ্ধ, ভোরে জাগা, পরিবারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করা, বিপদগ্রস্ত নারীকে রক্ষা করা।
আমার তো চাণক্যর এই পর্যবেক্ষণক্ষমতা খুবই ভালো লাগল। আশা করি, তোমরাও এসব থেকে কিছু শিক্ষা নিজের জীবনের জন্য সঞ্চয় করতে পারবে।