প্রিয় মনোবন্ধু,
আমার সমস্যাটা একটু জটিল। আমার মা–বাবার মধ্যে সম্পর্কটা ভালো নয়। তাঁদের ঝগড়ার শিকার হই আমি। তাঁদের ঝগড়ার জন্য আমার মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। আমার ওপর খুব প্রভাব ফেলছে তাঁদের ঝগড়া। এ জন্য সারাক্ষণ আমি মানসিক সমস্যায় ভুগি। আর সমস্যাটা চলছে আমার আট বছর বয়স থেকে। দুই বছর বয়সী একটা ছোট বোন আছে আমার। আমার ধারণা, তার ওপরও ঝগড়ার প্রভাব পড়ছে। তুমি আমাকে এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার একটা উপায় বলে দাও।
উত্তর: তুমি অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয় তুলে ধরেছ। তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তুমি বিষয়টি বুঝতে পেরেছ। আর বিজ্ঞান বলে, যখন সমস্যার কারণ নির্ণয় করা যায়, সমাধানের খুব কাছাকাছি চলে আসা যায়। তোমার বয়স যেহেতু কম, তাই তুমি তোমার মা-বাবার ঝগড়ার মধ্যে কখনো যুক্ত হবে না। তাঁদের জন্য উপদেশ তোমার আর তোমার বোনের সুস্থ বিকাশের জন্য তাঁরা যেন অবশ্যই ঝগড়া পরিহার করেন। যদি নিজেরা এই দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন, তবে যেন অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করেন। তুমি ভালো মুহূর্তে (ঝগড়ার সময় নয়) মা-বাবাকে এই লেখাটি দেখাতে পারো। মা-বাবার নিয়মিত সংঘাতের কারণে সন্তানের ভবিষ্যৎ পারিবারিক জীবন ব্যাহত হয়, ব্যক্তিত্বের সমস্যা হয়। আর সবকিছুর পরও যদি তাঁদের পরিবর্তন না হয়, তবে তুমি তাঁদের ঝগড়ার বিষয়টি ইগনোর করতে শুরু করো। নিজের জন্য, দেশের জন্য আর পৃথিবীর মানুষের জন্য তুমি নিজেকে প্রস্তুত করো। মেজাজ খিটখিটে করে কোনো উপকার নয়, বরং ভাবতে শেখো মা-বাবার ঝগড়া মোটেও ভালো জিনিস নয়, তাই জগতে যা কিছু ভালো নয়, সেগুলোর দিকে মোটেই মনোযোগ দেওয়া যাবে না, ভালো ভালো বিষয় চর্চা করো, মানুষের ভালো আচরণগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করো। মনে রাখবে, তোমার নিজের ঠিক থাকা তোমার ছোট বোনটির জন্যও জরুরি।
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।