আমি নবম শ্রেণির ছাত্রী। ইদানীং অনেক সমস্যায় ভুগছি। গত কয়েক মাস মোটেও পড়াশোনা করিনি আমি। যেহেতু আমি মানবিক বিভাগে, তাই লেখাপড়াকে অত গুরুত্বসহকারে নিইনি। কিন্তু সামনে আমার পরীক্ষা। এখন পড়ার টেবিলে বই রেখে পড়ার চেষ্টা করি কিন্তু পড়ায় মন বসে না। আর কোনো পড়াই আমি মুখস্থ করতে পারি না। মুখস্থ হলেও ভুলে যাই। বইয়ের একটা পাতাও ভালোমতো পড়িনি আমি।
আর অন্য একটা সমস্যা হলো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বিজ্ঞান বিভাগে। আমরা উভয়েই ভালো ছাত্রী। জেএসসিতে আমরা জিপিএ-৫ পাই। তবু সে সায়েন্স আর আমি আর্টসে। তাই মনে হয় আমরা দুজন আলাদা হয়ে গেছি। আর কারণে-অকারণে আমি বিষণ্ন হয়ে থাকি। এর কারণ আমি নিজেও জানি না। আমাকে এসবের সমাধান দাও মনোবন্ধু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
নবম শ্রেণি, পোল্লাডাঙ্গা দীন মো. উচ্চবিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
উত্তর: পড়ালেখা নিয়ে তুমি মানসিক চাপে রয়েছ। মানসিক চাপ পড়ালেখায় বিঘ্ন তৈরি করে। পড়া মুখস্থ করার চেষ্টা না করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। তাহলে দেখবে পরীক্ষার হলে তুমি ঠিকমতো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছ। মুখস্থ করার চেষ্টা করবে না। প্রতিদিন একটা রুটিন করে পড়বে। বেশিক্ষণ পড়ার দরকার নেই, অল্প সময় মন দিয়ে বুঝে পড়বে। সায়েন্স আর আর্টস দুই–ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তুমি যদি তোমার বিষয়ে দক্ষ হতে পারো, তবে তা সায়েন্স না আর্টস, তা কোনো বিবেচ্য নয়। বরং আর্টসের ক্ষেত্র অনেক বড়। আর বন্ধুত্ব কি সায়েন্স আর্টস দিয়ে হয়? বন্ধুত্ব হয় মনের মিলের কারণে। যে যে বিষয়েই পড়ুক না কেন, মনের মিল থাকলে তোমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। বিষণ্ন হওয়ার মতো কিছুই হয়নি। মন দিয়ে পড়ো, বন্ধু আর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাও, গান শোনো, বই পড়ো, বেড়াতে যাও। আর হ্যাঁ, বেশি সময় মোবাইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকবে না। রাত জাগবে না। নিশ্চয়ই তুমি ভালো থাকতে পারবে।
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।