১. প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটবে। অথবা আধা ঘণ্টা করে হাঁটার আগে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠবে।
২. বসার সময় অবশ্যই সোজা হয়ে বসবে। চেয়ারে বসার সময়ও তাই। বাঁকা হয়ে বসবে না। সোজা হতে না পারলে চেয়ারের কাছ থেকে শেখো, যে কীভাবে সোজা হয়ে বসতে হয়।
৩. খাবারটা কোনোমতে মুখে দিয়েই গিলে ফেলো অনেকে, তারপর মনযোগ দাও মোবাইলের স্ক্রিনে। এটা ঠিক না। খাওয়ার সময় ভালো করে চিবিয়ে খাবার খাবে। এতে হজমটাও সহজ হয়। আর পর্যাপ্ত পানি তো খাবেই।
৪. চুলের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারো। না করলেও গোসলের সময় ভালো করে চুলের গোড়া পর্যন্ত পানি দিয়ে পরিষ্কার করবে।
৫. তাজা শাকসবজি আর ফলমূল খাবে বেশি করে। পরীক্ষার ফল খারাপ হতে পারে, কিন্তু গাছের ফল খুব মজা। আর পুষ্টিকরও। ফল খেলে ফল পাবে।
৬. নিয়মিত গোসল করবে। তাহলে বন্ধুবান্ধবের সর্দি না হলেও তোমার সঙ্গে মিশবে।
৭. রাতে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরা ভালো। তাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, রোম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে শ্বসন প্রক্রিয়া চালাতে পারে।
৮. তোমরা এমনিতেই ‘সুইট’, তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভালো। মিষ্টিজাতীয় খাদ্য শরীরকে মোটা করে। তাছাড়া প্রতিদিন এত মিষ্টি খেলে পরীক্ষার রেজাল্টের পর কী খাবে? ঝাল?
৯. প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধ্যান করবে। ধ্যান? ক্যান? এতে মানসিক প্রশান্তি আসবে। মনও ভালো হবে। শেখার জন্য আছে ইন্টারনেট আর প্রচুর বইপত্র।
১০. ক্রোধ থেকে দূরে রাখবে নিজেকে। এমনভাবে কথা বলবে, যাতে কেউ দুঃখ না পায়। রাগবে আরেকজনের ওপর, কিন্তু ভাগবে তোমার নিজের সুখ। আর মনে রেখো, সুখের অভাবই হলো অসুখ। কী ব্যাপার? কী সমস্যা তোমার? ঠিকমতো পড়ছ না কেন? কী শিখেছ বলো। আমার লেখা ফিচার পড়ার সময় ফাজলামি করা আমি একদম পছন্দ করি না। আবার হাসে? আচ্ছা, হাসো। হাসলেও ভালো থাকবে।