বোতল ভূত
হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশক: প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা
প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৯
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
অলংকরণ: রফিকুন নবী
ভাষা: বাংলা
ক্লাস সিক্সের একেবারে পেছনের বেঞ্চের ছাত্র হুমায়ূন। রোল নম্বরটাও সবার পেছনে। ৩২ জন ছাত্রের মধ্যে তার রোল মাত্র ৩২। অঙ্ক স্যার নিশ্চিত, হুমায়ূনের মাথায় কিছুই নেই, একেবারে ফাঁকা। তবে বড় চাচার ব্যাপক দ্বিমত আছে। তার ভাষায়, হুমায়ূনের মাথায় নাকি পচা গোবর ভরা।
ক্লাস সিক্সে হুমায়ূনের একেবারে বিপরীত মুনির। ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র সে। তবে ছাত্র ভালো হলেও মুনির বসে হুমায়ূনের সঙ্গে পেছনের বেঞ্চেই। সে কারণেই এই গবেট আর দুষ্টু ছাত্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব মুনিরের। একদিন অঙ্ক ক্লাসে চৌবাচ্চার একটি কঠিন অঙ্ক করতে দিয়েছেন স্যার। মুনিরের খাতা দেখে টুকলিফাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় হুমায়ূন। শান্তি হিসেবে মাথায় জোটে পাঁচ নম্বরি বেতের শাস্তি। তা দেখে আনন্দে সবগুলো দাঁত বের হয়ে যায় ক্লাসের ফাজিল ছেলে বশিরের। তবে মন খারাপ হয়ে যায় মুনিরের। হুমায়ূনকে খুশি করতে সে ভূতের বাচ্চা এনে দেওয়ার কথা বলে। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যায় হুমায়ূন।
মুনিরের সঙ্গে এক বিকেলে রবীন্দ্রনাথের মতো চেহারার এক বুড়োর বাড়িতে হাজির হয় হুমায়ূন। পাগল কিসিমের সেই বুড়োর বাড়ির নাম শান্তিনিকেতন। তাঁকে রবিবাবু বা রবি নানা বলে না ডাকলে ভীষণ রেগে যান তিনি। প্রায় সব সময় তিনি বইয়ের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে বসে থাকেন। আর মাঝেমধ্যে ছড়া-কবিতা লেখেন। কারণ, নোবেল পুরস্কার পেতে গেলে নাকি এসব লিখতে হয়। মুনির আর হুমায়ূনকে তাঁর লেখা একটি টাটকা ছড়াও শুনিয়ে দেন। কিন্তু ছড়াটা আগেও কোথাও পড়েছে বলে সন্দেহ হয় হুমায়ূনের। তবে ভূতের বাচ্চা পাওয়ার লোভে কিছু বলে না সে। সেই পাগলাটে বুড়ো এক হোমিওপ্যাথির ওষুধের শিশিতে হলুদ রঙের ধোঁয়াটে কী যেন এনে দেন। ওটাই নাকি একটি ভূতের বাচ্চা।
ফেরার পথে ভূতের বাচ্চাটা হুমায়ূনকে দিয়ে দেয় মুনির। বোতলবন্দী সেই ভূতের বাচ্চা বাড়িতে এনে পুষতে থাকে হুমায়ূন। তাতেই ঘটতে থাকে যত বিপত্তি। তার পর থেকেই তার জীবনে ঘটতে থাকে অবিশ্বাস্য আর মজার সব ঘটনা। সেসব জানতে চাইলে একবার পড়ে দেখতে পারো হুমায়ূন আহমেদের বোতল ভূত বইটি। একবার শুরু করলে শেষ না করে ওঠার উপায় নেই। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ আর অলংকরণ করেছেন রফিকুন নবী ওরফে রনবী।