পরীক্ষার ভূত থেকে বাঁচার টিপস
পরীক্ষার আগে ‘ফেসবুক হতে সাবধান!’ দরকার হলে এটা বড় করে লিখে দরজায় টাঙিয়ে রাখো। তারপরও ফেসবুকে না ঢুকে থাকতে পারছ না? কাউকে বলো ইন্টারনেটের পাসওয়ার্ড পাল্টে দিতে (অবশ্যই তোমাকে না জানিয়ে)।
স্মার্টফোনের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ! দরকার হলে ফোনে টাকাও বেশি রেখো না, পাছে মন ব্যাকুল হয়!
ছোটবেলা থেকে বড়দের মুখে নিশ্চয়ই শুনে এসেছ অমুক অমুক তো দিনে ১৮ ঘণ্টা পড়ে! এসব কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দাও। দিনে বেশিক্ষণ পড়ার বই নিয়ে বসে থাকার কোনো মানে নেই। পরীক্ষার আগে আগে একটু বেশি সময় হয়তো পড়তে হয়, কিন্তু খেলাধুলা, গল্পের বই এসব বাদ দিয়ে জীবন দুর্বিষহ করে ফেলার কারণ নেই।
ঘুমাও! সারা বছর পড়াশোনা না করে থাকলে এই পরীক্ষার আগে রাত জাগলে এমন কিছুই উদ্ধার করা যাবে না। মাঝখান দিয়ে ঘুম ঘুম চোখে আগে যা পড়া ছিল তাও ভুলে বসে থাকবে! প্রশ্ন হাতে পেলে মনে হবে হায়ারোগ্লিফিক! কাজেই ঘুম আবশ্যক!
মনে রাখবে, তোমার বন্ধু তোমার চেয়ে বেশি নাও জানতে পারে। কাজেই পরীক্ষার হলে বাঁয়ে-ডানে দেখতে গিয়ে ভুল উত্তর টুকলিফাই করতে যেয়ো না। মাঝখান দিয়ে ধরা পড়লে সাড়ে সর্বনাশ!
সৃজনশীল প্রশ্নের চারটা অংশের উত্তর দিতে গিয়ে কোন প্রশ্ন কয় লাইন লিখতে হবে এমন কোনো নিয়ম কিন্তু নেই। কাজেই প্রশ্নে যা চাওয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী লিখলেই ভালো। কিছু না কিছু লিখলেও নম্বর দিয়ে দেয়—এমন শিক্ষকের হাতে খাতা পড়লে অবশ্য অন্য কথা!
গাইড বই নিয়ে বসে না থেকে পরীক্ষার আগে মূল বইটা পড়ো! প্রশ্নকর্তা ফাঁকিবাজি করে গাইড বই থেকেই যে প্রশ্ন দেবে তার নিশ্চয়তা কী?
‘অমুক স্যারের সাজেশন পাইছিস?’—পরীক্ষার আগের দিন বন্ধুর এমন ফোন পেয়ে উত্তেজিত হয়ে ছুটে যেয়ো না! এসব সাজেশন ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর সেটা অনুযায়ী পড়লে দুটি সমস্যা—প্রথমত, আগে পড়া নেই এমন কিছু নতুন করে পড়তে গেলে পেরে উঠবে না, আগের পড়াও ভুলবে। দ্বিতীয়ত, সাজেশনের বাইরে বইয়ের অন্য অংশগুলোতে আর চোখ বোলানো হবে না!
পরীক্ষায় অনেক সময়, বিশেষত বিজ্ঞান বিষয়ে চিত্র বা ছবি আঁকতে হয়। এসব ছবি কয়েক রঙের কলম, শেড ইত্যাদি দিয়ে সুন্দর করে আঁকতে গিয়ে সময় নষ্ট করো না। বিজ্ঞানের চিত্রে বিষয়টা বোঝানোই জরুরি। বাকি সৌন্দর্য গ্যাটিস!
একটা পরীক্ষা খারাপ হলেই জীবন ব্যর্থ ধরে নেওয়ার কোনো মানে নেই। আবার ফেল করলেই বিল গেটস হয়ে যাবে সেটা আশা করাও ঠিক না। ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়াটাই আসল। একটা পরীক্ষার ফলেজীবনের বিরাট কিছু আসে যায় না! বাবা-মা একটু ঝাড়ি দিতে পারে, সেটাতে বেশি দুঃখ নিয়ো না, মা-বাবাই তো!