নিজেকে জানো
তুমি শীতপ্রিয় না গ্রীষ্মপ্রিয়?
শীতকাল বললে তোমার মাথায় সবার প্রথমে কোন চিন্তাটা আসে? কনকনে ঠান্ডা, কুয়াশাঢাকা চারপাশ, নাকি গরম ধোঁয়া ওঠা ভাপাপিঠা? আর যদি গ্রীষ্মের কথা বলি? ঠিক আছে, তোমার এত ভাবতে হবে না। তুমি শীত না গ্রীষ্মপ্রিয় মানুষ, তা নিচের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্কোর মেলালেই বুঝতে পারবে। চলো, জানা যাক।
১. সকাল ছয়টা। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলে, এক হাত দূরে কী আছে, তা স্পষ্ট দেখা যায় না। কুয়াশায় কেমন রহস্যময় পরিবেশ! ক্লাসে যেতে হবে। এমন সময় তোমার মনোভাব যা হয়...
ক. শীতের দিনে ক্লাস! ধুরর! শীতের দিন কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে থাকতেই ভালো লাগে আমার।
খ. ক্লাস করতেই বিরক্ত লাগে, তার ওপর আবার শীতকাল! আরও বিরক্তিকর!
গ. শীতকালে ক্লাস করতেই বেশ লাগে আমার। আরামদায়ক একটা পরিবেশ থাকে যে।
২. যে সময়টাতে ঘুরতে তোমার বেশি ভালো লাগে—
ক. বেশি গরম বা ঠান্ডা পড়লে আমার একদমই ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করে না। গরমও না ঠান্ডাও না, এমন সময় ঘুরতে ভালো লাগে আমার।
খ. দেখুন, ঘোরাঘুরির আদর্শ সময় হলো শীতকাল। তখনকার আবহাওয়া আর পরিবেশটার সঙ্গে অন্য সময়ের তুলনা হয় না।
গ. গরমকালে। ওই সময়টাতেই যে ছুটি থাকে। শীতকালে থাকে পরীক্ষা, দম ফেলারও সময় মেলানো ভার!
৩. অনেকেই বলে শীতকাল নাকি বেশ ফ্যাশন অনুকূল। মানে, নিজের ইচ্ছেমতো শীতের পোশাক পরে ফ্যাশন করা যায়। তোমার এ ব্যাপারে কী মতামত?
ক. কোথায় ফ্যাশন? একগাদা শীতের কাপড় পরতে হয়। নিজেকে কেমন কাপড়ের বস্তা মনে হয়!
খ. আর বলতে...কানটুপি, মাফলার, চাদর, সোয়েটার—সবকিছু পরে বেশ ভালোই একটা ভাব নেওয়া যায় বৈকি!
গ. আমার এত পোশাক বা ফ্যাশন নিয়ে মাথাব্যথা নাই। নিজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি এমন পোশাক হলেই হলো।
৪. শীতকাল মানেই খাবারদাবারে হরেক রকম সবজি। মৌসুমি সবজির ব্যাপারে তোমার ধারণা—
ক. সবজি নিয়ে আবার আলাদা মতামত কী? খাবার তো খাবারই!
খ. সবজি? এহহে! সবজি খেতে আমার একফোঁটাও ভালো লাগে না। দেখলেই পালাতে ইচ্ছা করে।
গ. শীতকালীন সবজি আমার সবচেয়ে প্রিয়। এই মনে করুন, ফুলকপি আর ধনেপাতার নিরামিষ, আহা! ভাবতেই জিবে জল চলে আসছে।
৫. একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখলে, তোমার শহরে তুষার পড়ছে। শুভ্র তুষারে চারপাশ ঢাকা...
ক. ভাবতেই তো ভালো লাগছে। স্নোম্যান বানাব, বরফ ছোড়াছুড়ি করব...
খ. আমি শীত একদমই সহ্য করতে পারি না। তখন বাসা থেকে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে আমার জন্য, নাহ্, একটুও ভালো হবে না।
গ. দৃশ্যটা দেখতে বেশ লাগবে। কিন্তু মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করলে, হয়তো তুষার পড়াকে আহামরি মনে হবে না।
৬. শীতের দিনে এর মধ্যে যে কাজটি করো তুমি—
ক. মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের করা।
খ. সোয়েটারের হাতা টেনে আঙুল ঢেকে রাখা।
গ. ওপরের দুটি কাজই করি।
৭. শীতকালের সবচেয়ে বিরক্তিকর দিক হলো—
ক. নিয়মিত গোসল করা
খ. শীতকালের আবার বিরক্তিকর দিক আছে নাকি? আমার তো সবই ভালো লাগে!
গ. শীতকালের সবকিছুই আমার বিরক্তিকর লাগে। এই যেমন মাথায় খুশকি হওয়া, ত্বক ফেটে যাওয়া, হাত–পা জমে বরফ হওয়া...
৮. ধরো, কোনো একবার অনেক বেশি গরম পড়ল। শীত আসার কোনো নামই নেই। এ সময় তোমার মনোভাব যা হয়...
ক. শীত কবে আসবে? শীত পড়ে না কেন? সারাক্ষণ এসব ভাবতে থাকি...
খ. গরম অসহনীয় হয়ে উঠলে আশা করব শীত পড়ুক। নইলে এসব নিয়ে আমার ভাবান্তর নেই কোনো।
গ. বেঁচে যাব। শীত কম পড়লেই আমি খুশি হই!
৯. কয়েক দিন ধরে সূর্য দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশার আড়ালে সব ঢাকা। এ রকম পরিস্থিতি হলে তোমার কেমন লাগে?
ক. চিন্তা করতেই বিষণ্ন লাগছে। এ রকম সময় চারপাশের পরিবেশটা কেমন বিষণ্ন হয়ে যায়, কী আর বলব।
খ. বেশি শীত পড়লে কার না অসুবিধা হয় বলুন? কুয়াশা সরে যাক, তা–ই চাইতে থাকি।
গ. এর চেয়ে আরামদায়ক পরিবেশ তো আর হতেই পারে না! ভালো না লেগে উপায় নেই।
১০. শীত শেষ। ভাবতেই তোমার অনুভূতি যেমন হয়?
ক. আবার সেই ক্যাটক্যাটে গরম সহ্য করতে হবে? কী বিরক্তিকর ব্যাপার!
খ. চিন্তা করি, এবার খুব বেশি গরম না পড়লেই হয়।
গ. ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচা গেল!
তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে
০–৪০: শীতকালের সঙ্গে তোমার বেশ ভালোই বৈরী সম্পর্ক বলতে হয়। শীত শব্দটা শুনলেই তুমি চাদর, সোয়েটারের আড়ালে নিজেকে ঢেকে ফেলতে চেষ্টা করো। আর যা–ই হোক, শীত কোনোভাবেই তুমি সহ্য করতে পারো না। শীত একদম কুপোকাত করে ফেলে তোমাকে। শীতকে এত ভয় না পেয়ে একটু উপভোগ করলেও পারো কিন্তু।
৪৫–৭০: শীত বা গরম নিয়ে তোমার তেমন মাথাব্যথা নেই। মূলত কোনো ঋতু নিয়েই তোমার মাথাব্যথা নেই। তুমি বেশ যুক্তিবাদী মানুষ। যে আবহাওয়াটা তোমার কাছে অনুকূল মনে হয়, সেটিই তোমার প্রিয়। তুমি সব ঋতুর ভালো বা মন্দ দুটি দিকই বিবেচনা করো।
৭৫-১০০: শীতকাল যে তোমার খুব প্রিয়, সেটা তুমি বেশ ভালো করেই জানো। তাই শীতকালের কনকনে ঠান্ডা থেকে শুরু করে সুস্বাদু পিঠা—সবই তোমার উপভোগ্য মনে হয়। মাঝেমধ্যে শীত উপভোগ করতে গিয়ে জ্বর-ঠান্ডাও বাধিয়ে ফেলো। শীত উপভোগ করতে গিয়ে নিজের যত্ন করতে ভুলে গেলে চলবে না, সেদিকটাও খেয়াল রেখো।