তুমি কতটা হাসিখুশি

হাসলে নাকি হার্ট ভালো থাকে। কবিতায় আছে, ‘হাসতে নাকি জানে না কেউ, কে বলেছে ভাই?’ তোমাকে দেখলেই বোঝা যায়, দুনিয়াতে হাসিখুশি থাকার বিষয়ের অভাব নেই। হেসে বত্রিশটা দাঁত বের করে রাখতে তোমার এত ভালো লাগে যে বন্ধুরা তোমাকে বলেও বসে টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন করতে। চাইলে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নম্বর মিলিয়ে দেখে নিতে পারো তুমি আসলেই কতটা হাসিখুশি।

১. ধরো, একটা কৌতুক বলতে শুরু করলে তুমি...

ক. ‘তারপর পল্টু যা বলল, হা হা হা... বলল কী, হা হা হা...’ নিজেই হাসির কারণে কৌতুক শেষ করতে পারো না।
খ. সাজিয়ে-গুছিয়ে কৌতুক বলে বন্ধুদের হাসানোতে আমার জুড়ি নেই!
গ. আমার কৌতুক বা রসিকতা কেউ ধরতেই পারে না। তাই বলিও না!

২. ক্লাসে টিচার দুম করে একটা বকা দিয়ে দিল। অথবা খুব গুরুগম্ভীর আলোচনায় তোমাকেও থাকতে হচ্ছে। এ রকম সব সিরিয়াস মুহূর্তে তুমি যা করো...

ক. একটুও ভাল্লাগে না আমার। টিচার বকলে আমার চোখে পানি চলে আসে ভাই!
খ. হি হি! আমি যে কী! সিরিয়াস মুহূর্তে শুধু হাসি পায় আমার। হাসি কোনোরকমে গিলে ফেলি।
গ. নির্ভর করে কতটা সিরিয়াস বিষয় তার ওপর।

৩. বন্ধু তোমাকে কোনো একটা মজার ঘটনা বা কৌতুক শোনাল। এরপর তোমার প্রতিক্রিয়া—

ক. হা হা। খুব মজার তো!
খ. আমি এত হাসতে থাকি যে বাধ্য হয়ে বন্ধু বলে, ‘ভাই, এইবার থাম প্লিজ!’
গ. ‘এইটা একটা জোক?

৪. আজকে তোমার বেশ মন খারাপ। ব্যাপারটা লক্ষ করল তোমার কাছের মানুষেরা। তাদের প্রতিক্রিয়া—

ক. দোস্ত, তোর মন খারাপ? তোর? কীভাবে সম্ভব!
খ. শেষ কবে তোর মন ভালো ছিল, বল তো?
গ. আরে ব্যাপার না। মাঝে মাঝে একটু-আধটু মন খারাপ কমবেশি সবারই হয়।

৫. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো পোস্টে মাত্র তিন-চারটা লাইক পেলে। তখন?

ক. মাত্র তিনটা লাইক? কত্ত ভালো একটা পোস্ট দিলাম কেউ বুঝলই না!
খ. তিইইনটা লাইক? আমি তো তারকা!
গ. সমস্যা নাই। লাইক নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না।

৬. মজার মজার গল্প বলে কি প্রায়ই অন্যদের হাসাও?

ক. প্রায়ই? প্রতিদিন! এমন সব মজার মজার ব্যাপার ঘটে। সেসব গল্প বললে কেউ না হেসে থাকতে পারে না। এই কাজের জন্য আমাকে পয়সাকড়ি দেওয়া হলে এত দিনে বিল গেটস হয়ে যেতাম!
খ. এত মজার ঘটনা ঘটে নাকি? জীবনটা অনেক কঠিন।
গ. হ্যাঁ, মাঝে মাঝে যেসব মজার ঘটনা ঘটে, তা অন্যদের বলি।

৭. বন্ধুরা যেই নামে ডাকে তোমায়—

ক. রামগরুড়ের ছানা
খ. জোকার/ কমেডিয়ান
গ. আঁতেল

৮. যে ধরনের বই পড়তে বা মুভি দেখতে ভালোবাসো—

ক. হাসির কিছু হলেই হয়
খ. দুঃখের হলে বেশি ভালো লাগে। বাস্তবিক মনে হয়।
গ. সব ধরনের

৯. মন খারাপ হলে কী করে মন ভালো করো?

ক. গান শুনি, চুপচাপ থাকি। মন খারাপ লাগলে কথা বলতে ইচ্ছা হয় না আমার।
খ. সম্ভাব্য সবকিছু করি মন ভালো করতে। বই, টিভি, রান্না কিছুই বাদ রাখি না।
গ. বেশিক্ষণ মন খারাপ থাকেই না আমার!

১০. ছুটি পাওয়া যায় এমন ছোট-বড় যেকোনো উৎসবে তোমার ভাবটা থাকে—

ক. উৎসব? উৎসব মানেই তো আনন্দ। ঘুরব...খাব...গল্পের বই পড়ব...ভাবতেই ভালো লাগে!
খ. সারা দিন ঘুমাব।
গ. হইচই করব, কিন্তু পড়ার কথাও ভুলতে পারব না। অ্যাসাইনমেন্ট, বাড়ির কাজ সব মাথায় থাকে আমার।

নম্বর

১। ক. ১০ খ. ৫ গ. ০
২। ক. ০ খ. ১০ গ. ৫
৩। ক. ৫ খ. ১০ গ. ০
৪। ক. ১০ খ. ০ গ. ৫
৫। ক. ০ খ. ১০ গ. ৫
৬। ক. ১০ খ. ০ গ. ৫
৭। ক. ০ খ. ১০ গ. ৫
৮। ক. ১০ খ. ০ গ. ৫
৯। ক. ০ খ. ৫ গ. ১০
১০। ক. ১০ খ. ০ গ. ৫

যেখানে দাঁড়িয়ে তুমি

০—৩০: আচ্ছা, বলো তো হাসলে তোমাকে কত শতাংশ কর দিতে হয়? কী? কর দিতে হয় না? তাহলে হাসতে তোমার বাধা কোথায়? এ গাল-ও গাল না হাসো, মাঝে মাঝে মুচকি হাসলেও তো পারো। নাকি? দেখোই না, তোমার আশপাশের সবাই তোমাকে কাঠখোট্টা ভাবে। আসলে তুমিও যে কত হাসতে পারো, সেটা হয়তো ওরা জানেই না। হাসলে কিন্তু যে কাউকে খুব সুন্দরও দেখায়। তাই নিজেকে গুটিয়ে না রেখে, একটু মন খুলে হাসো। ভালো থাকার মূল মন্ত্র হলো হাসিখুশি থাকা। চারপাশে কত রকম ঘটনা ঘটে। জীবনের ছোট ছোট বিষয় থেকে আনন্দ খুঁজে নেওয়াটাই তো বড় কথা। একটু চেষ্টা করে দেখোই না একবার!

৩৫—৬৫: তুমি বেশ পরিমিত হাসিখুশি ধরনের মানুষ। বন্ধুদের কাছে আলাদা অবস্থান আছে তোমার। কোথায় কী বলে কাউকে হাসানো যায়, সেটা যেমন তুমি জানো, আবার কোন কথাটায় কতটা হাসতে হয়, সেটাও তুমি জানো। হাসির সময়ও লাগাম টেনে নিতে জানো। মোটের ওপর পরিস্থিতি বুঝে তুমি হাসিখুশি থাকো। তবে কী বলো তো, সব সময় এত মেপে মেপে হাসিখুশি থাকতে গিয়ে কখনো কখনো পুরোপুরি আনন্দটুকু উপভোগ করতে পারো না তুমি। আরেকটু নির্ভাবনায় হাসতেই পারো। জীবনটাকে পুরোপুরি উপভোগ করতে হলে কখনো অফুরন্ত হাসতে হয়।

৭০—১০০: তোমার পেটব্যথা হওয়ার একটাই কারণ। অতিরিক্ত হাসা। একবার হাসতে শুরু করলে থামতেই পারো না। মাঝে মাঝে ভুলভাল পরিস্থিতিতে হেসে ফেলে বেশ বিপদে পড়ে যাও। আম্মু তো সতর্কও করেন তোমাকে, ‘যত হাসি, তত কান্না!’ তুমি অবশ্য এসব কথা বেশিক্ষণ মাথায় রাখতে পারো না। হাসতে হাসতেই তোমার দিন কেটে যায়, এত কিছু খেয়াল রাখবে কখন? তুমি প্রতিটা দিন বেশ উপভোগ করো। চার্লি চ্যাপলিন বলেছেন, একটা দিন না হাসলে দিনটা ব্যর্থ হয়ে যায়। তুমি আবার এই নীতিতে বিশ্বাসী। হাসি কমানোর কোনো দরকার নেই, তবে কখনো কখনো একটু পরিস্থিতি বুঝেও হাসতে হয় কিন্তু!