—আর তুমি নিশ্চয়ই এসেছ ইন্ডিয়া থেকে?
টুম্পা: না মিসেস হেনরিকসন। আমি এসেছি বাংলাদেশ থেকে।
—বাহ! কী চমৎকার! আমাদের স্কুলে বাংলাদেশের একজন মেয়ে আছে।
এরপর মিসেস হেনরিকসন বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরলেন। ক্লাসের বাকিদের মতো টুম্পাও অবাক হয়ে তা শুনল। আসলে এই প্রথম বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো কিছু শুনল টুম্পা।
আসলে টুম্পার বয়স যখন ছয়, তখন তার বাবা বদ্ধ পাগল হয়ে যান। স্কিৎজফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যখন বাসায় ভাঙচুর করেন, তার মাকে মারধর করেন, তখন বাঁচার জন্য তার মা তাকে নিয়ে ডিভি লটারিতে আমেরিকা চলে আসেন। এখানে তার এক সৎবাবাও জোটে। সেও বাংলাদেশি, তবে সর্বদা বলে ‘বাংলাদেশ হল চোরের দেশ’।
তাই হেনরিকসনের কথায় বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহ জন্মে তার। যখন সে দেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তখন তার বাসায় ঝড় বয়ে যায়। কিন্তু তার শিল্পপ্রতিভার কল্যাণে চার সপ্তাহের জন্য দেশে আসার সুযোগ পায় সে। একদিন সে যখন তার খালাকে জিগ্যেস করে তার আসল বাবার কথা, তখন তার খালাও বলতে পারে না তার বাবা বেঁচে আছে কি না। কিন্তু এবারও তার শিল্পমনা মনের কল্যাণে সে আকস্মিকভাবে জানতে পারে তার পাগল বাবা বেঁচে আছেন। এরপর শুরু হয় ১৩ বছর বয়সী টুম্পা রায়হানের নতুন সংগ্রাম, যা কল্পনাকেও হার মানায়। টুম্পার পরবর্তী জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে জানতে হলে তোমাকে অবশ্যই পড়তে হবে জাফর ইকবালের বৃষ্টির ঠিকানা বইটি।